১০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ কুমিল্লা নগরীর কাঁটাবিলে জোরপূর্বক প্রবাসীর জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সদর আসনের প্রার্থী রিয়াদের সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু কুমিল্লায় ভেজাল জুস ও যৌন উত্তেজক পণ্য কারখানায় অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লা লাকসাম (মুদাফ্ফরগঞ্জ) ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় জুলাই মাসে ১১টি হত্যা, ধর্ষণের মামলার ৮টি কুমিল্লায় ৩৩ বছরের ইমামত শেষে রাজকীয় বিদায়; কাঁদলেন এলাকাবাসী সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার মুরাদনগরে মানববন্ধন

কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে যৌথ বাহিনী পরিচয়ে আটকের পর মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলা

  • তারিখ : ০৫:২৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 8

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার।

মামলার ছয় আসামি হলেন, জেলার আদর্শ সদর সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর (পান্ডানগর) গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নিহত তৌহিদুলের প্রতিবেশী তানজিল উদ্দিন, নাজমুল হাসান টিটু, খাইরুল হাসান মাহফুজ, সাইদুল হাসান সবুজ ও বামইল গ্রামের সোহেল।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের সঙ্গে তৌহিদুলের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু বিরোধ শেষ হয়নি। এ নিয়ে তৌহিদুলকে হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাতে অভিযুক্তরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০-২৫ জন সিভিল পোশাকধারী এবং সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পরিহিত লোক বাড়ি গিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদ ও প্রতিবেশী লুৎফুর রহমানকে আটক করে নিয়ে যায়।

পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই ব্যক্তিরা আবারো আহত তৌহিদ ও লুৎফুরকে নিয়ে বাড়ি এসে ঘরে তল্লাশি করে। এসময় লুৎফুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও তৌহিদকে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় তৌহিদকে গোমতী বাঁধের ঝাঁকুনি পাড়ায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট হয়ে ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ঘটনার মূলহোতাদের আসামি করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এর বাইরেও কেউ কেউ থাকতে পারেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না, তাও তদন্ত করে পুলিশ বের করবে বলে আশা করি।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম মামলার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউ এলাকায় নেই। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে যৌথ বাহিনী পরিচয়ে আটকের পর মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলা

তারিখ : ০৫:২৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার।

মামলার ছয় আসামি হলেন, জেলার আদর্শ সদর সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর (পান্ডানগর) গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নিহত তৌহিদুলের প্রতিবেশী তানজিল উদ্দিন, নাজমুল হাসান টিটু, খাইরুল হাসান মাহফুজ, সাইদুল হাসান সবুজ ও বামইল গ্রামের সোহেল।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের সঙ্গে তৌহিদুলের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু বিরোধ শেষ হয়নি। এ নিয়ে তৌহিদুলকে হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাতে অভিযুক্তরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০-২৫ জন সিভিল পোশাকধারী এবং সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পরিহিত লোক বাড়ি গিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদ ও প্রতিবেশী লুৎফুর রহমানকে আটক করে নিয়ে যায়।

পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই ব্যক্তিরা আবারো আহত তৌহিদ ও লুৎফুরকে নিয়ে বাড়ি এসে ঘরে তল্লাশি করে। এসময় লুৎফুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও তৌহিদকে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় তৌহিদকে গোমতী বাঁধের ঝাঁকুনি পাড়ায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট হয়ে ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ঘটনার মূলহোতাদের আসামি করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এর বাইরেও কেউ কেউ থাকতে পারেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না, তাও তদন্ত করে পুলিশ বের করবে বলে আশা করি।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম মামলার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউ এলাকায় নেই। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।