১২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেল্পারের মৃত্যু সম্পাদকের কৌশলেই নয়াদিগন্ত পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে : শোকসভায় বক্তারা বুড়িচংয়ে ফুটপাত দখল উচ্ছেদ ও ভেজাল বিরোধী অভিযান; জরিমানা আদায় হয়রানি কমাতে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম জোরদার করা হবে -ইউএনও তানভীর হোসেন কুমিল্লায় গাউসিয়া কমিটির উদ্যোগে রবিউল আউয়ালকে স্বাগত জানিয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোয়ার সরকারের মতবিনিময় দাউদকান্দিতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত দাউদকান্দিতে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও যানবাহন জব্দ কুবির দেবিদ্বার ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি জিল্লুর, সাধারণ সম্পাদক মামুন মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে শিক্ষার্থী মারুফা নিখোঁজ, পরিবারে উদ্বেগ

কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রী তাজুলের পরিত্যক্ত বাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

  • তারিখ : ০৪:১৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • 18

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়িতে এক তরুণীকে (১৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ৫ আগস্ট ওই বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালানোর পর থেকে সেটিতে কেউ বসবাস করে না। বর্তমানে বাড়িটি পরিত্যক্ত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার সোনাপুর এলাকার এক তরুণী ও তার স্বামী গত ১৩ মার্চ লাকসামে তার নানা শ্বশুরের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। ১৪ মার্চ ভোরে তারা লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে বাড়ি ফেরার জন্য সিএনজিতে ওঠেন।

সিএনজি চালক মো. মাসুদ তাদের স্বামী-স্ত্রী কিনা জানতে চেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। একপর্যায়ে কৌশলে লাকসামের গন্ডামারা এলাকায় নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে এবং পরিকল্পিতভাবে লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় নিয়ে স্বামীকে ফেলে রেখে তরুণীকে অপহরণ করে।

পুলিশ জানায়, পরে তরুণীকে লাকসামের বড়তুফা এলাকায় সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত মো. মাসুদ ও মোহাম্মদ আলী তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ভুক্তভোগীকে লাকসাম পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় অভিযুক্ত বিলকিছ আক্তার কল্পনার ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে পুনরায় ধর্ষণ করা হয়।

পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় ভুক্তভোগীর স্বামী তাকে উদ্ধার করে। পরে তার মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো লাকসাম উপজেলার মনোহরপুর এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫), পৌরসভার শ্রীপুর মধ্যপাড়ার মো. মমিনের ছেলে মো. মাসুদ (২৩), বাতাখালী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মনির হোসেন হৃদয় (২৩), উত্তর বিনই এলাকার মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৩) ও মধ্য লাকসাম এলাকার মৃত মোস্তাফিজ মজুমদারের স্ত্রী বিলকিছ আক্তার কল্পনা (৪০)।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়। পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ (সোমবার, ১৭ মার্চ) তাদের আদালতে পাঠানো হবে। আমরা এ ঘটনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছি।

এ ঘটনায় লাকসামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে, মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং ভিকটিমের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রী তাজুলের পরিত্যক্ত বাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

তারিখ : ০৪:১৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়িতে এক তরুণীকে (১৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ৫ আগস্ট ওই বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালানোর পর থেকে সেটিতে কেউ বসবাস করে না। বর্তমানে বাড়িটি পরিত্যক্ত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার সোনাপুর এলাকার এক তরুণী ও তার স্বামী গত ১৩ মার্চ লাকসামে তার নানা শ্বশুরের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। ১৪ মার্চ ভোরে তারা লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে বাড়ি ফেরার জন্য সিএনজিতে ওঠেন।

সিএনজি চালক মো. মাসুদ তাদের স্বামী-স্ত্রী কিনা জানতে চেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। একপর্যায়ে কৌশলে লাকসামের গন্ডামারা এলাকায় নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে এবং পরিকল্পিতভাবে লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় নিয়ে স্বামীকে ফেলে রেখে তরুণীকে অপহরণ করে।

পুলিশ জানায়, পরে তরুণীকে লাকসামের বড়তুফা এলাকায় সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত মো. মাসুদ ও মোহাম্মদ আলী তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ভুক্তভোগীকে লাকসাম পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় অভিযুক্ত বিলকিছ আক্তার কল্পনার ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে পুনরায় ধর্ষণ করা হয়।

পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় ভুক্তভোগীর স্বামী তাকে উদ্ধার করে। পরে তার মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো লাকসাম উপজেলার মনোহরপুর এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫), পৌরসভার শ্রীপুর মধ্যপাড়ার মো. মমিনের ছেলে মো. মাসুদ (২৩), বাতাখালী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মনির হোসেন হৃদয় (২৩), উত্তর বিনই এলাকার মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৩) ও মধ্য লাকসাম এলাকার মৃত মোস্তাফিজ মজুমদারের স্ত্রী বিলকিছ আক্তার কল্পনা (৪০)।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়। পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ (সোমবার, ১৭ মার্চ) তাদের আদালতে পাঠানো হবে। আমরা এ ঘটনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছি।

এ ঘটনায় লাকসামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে, মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং ভিকটিমের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।