০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার কলেজের ছাত্রীদের বোরকা নিয়ে অশালীন মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী রাশেদা পরিমাপে কম দেওয়ায় দাউদকান্দি রাবেয়া সিএনজি পাম্পে জরিমানা দাউদকান্দিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন; ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা পুরাতন গোমতীকে লেকে রূপান্তরে কুসিক প্রশাসকের পরিদর্শন ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় অবৈধ মাটি উত্তোলনে অভিযান, ড্রেজার মেশিন ও পাইপ বিকল কুমিল্লায় রাতের আধারে কৃষকের ১৫ শতক জমির লাউগাছ কাটল দুর্বৃত্তরা কুমিল্লায় নির্বাচনের সাড়ে ৩ বছর পর শপথ নিলেন ইউপি সদস্য গাড়ি চালিয়ে কুমিল্লা ফিরছিলেন, পথে মোটরসাইকেল ধাওয়া; চিকিৎসকের মৃত্যু কুমিল্লার নগরীতে বিশেষ অভিযানে ৫ জন গ্রেপ্তার, ইয়াবা-অস্ত্র-নগদ টাকা উদ্ধার যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন হবেই: ড. খন্দকার মারুফ হোসেন

শিক্ষক ও অভিভাবকের আন্তরিকতা থাকলে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

  • তারিখ : ০৬:২২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • 26

শামীম রায়হান, দাউদকান্দি॥
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,শিক্ষক ও অভিভাবকের আন্তরিকতা থাকলে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব৷আমি নিজেও শিক্ষক ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি। বিদেশ গিয়ে এমএসসি, পিএসডি ডিগ্রি লাভ করে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও রাজনীতি এক সাথে করা গেলে সংসদ নির্বাচন করা যেতো না। সে জন্যে আমাদের দলীয় চাপে এবং দাউদকান্দির নেতাকর্মীদের আগ্রহে আমি ১৯৯১ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে নির্বাচন করতে চলে আসি।

১৯৯১-৯৬ সালে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী থাকাকালীন আমাদের দুটি সরকারী কলেজের ভবন নির্মান করি। সে সময় দাউদকান্দির দুটি সরকারী কলেজে শিক্ষক সংকট ছিলো।অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করতো। আমি বহুবার চেস্টা করেছি কিছু শিক্ষক আনার জন্য। সরকারী কলেজ বিদায় অনেকে আবার ট্রান্সফার হয়ে চলে যায়।

সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টায় দাউদকান্দি পৌর সদরে অবস্থিত ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজকে স্নাতক অধিভূক্তি ও ট্যালেন্ট শো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সে সময় চিন্তা করেছি কখনো সুযোগ হলে কলেজ করবো। যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট না হয়ে যায়। শিক্ষক ছিলাম, শিক্ষার প্রতি আমার আন্তরিকতা আছে। সে জন্যে ২টি বেসরকারি কলেজ, ২টি মাদরাসা ও ৩টি হাইস্কুল করেছি। এসব প্রতিষ্ঠান ২০০১-২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করি।

এই কলেজ ফলাফল ভালো করেছে। যার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ দুটিকে ডিগ্রিতে উন্নীত করেছে। আমরা অনার্স মাস্টার্স যাতে খুলতে পারি সে জন্যে এই অনুমোদন লাভ করেছি। অতীতে যেভাবে ফলাফল ভালো হয়েছে। আগামীতে ও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে৷

অনুষ্ঠানে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের গভনিং বডির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন,কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার,সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি একেএম সামচ্ছুল হক ও সাধারন সম্পাদক আবুল হাসেম সরকার,উপজেলা বিএনপি আহবায়ক এমএ লতিফ ভূঁইয়া,যুগ্ন-আহবায়ক জসিম উদ্দিন আহমেদ,আব্দুস সাত্তর,পৌর বিএনপি আহবায়ক ও অত্র কলেজের শিক্ষানুরাগী নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার,যুগ্ন-আহবায়ক সওগাত চৌধুরী পিটার,অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম ও অত্র কলেজের অভিভাবক সদস্য সাবেক কাউন্সিলর সালাউদ্দিন প্রমূখ।

error: Content is protected !!

শিক্ষক ও অভিভাবকের আন্তরিকতা থাকলে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

তারিখ : ০৬:২২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

শামীম রায়হান, দাউদকান্দি॥
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,শিক্ষক ও অভিভাবকের আন্তরিকতা থাকলে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব৷আমি নিজেও শিক্ষক ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি। বিদেশ গিয়ে এমএসসি, পিএসডি ডিগ্রি লাভ করে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও রাজনীতি এক সাথে করা গেলে সংসদ নির্বাচন করা যেতো না। সে জন্যে আমাদের দলীয় চাপে এবং দাউদকান্দির নেতাকর্মীদের আগ্রহে আমি ১৯৯১ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে নির্বাচন করতে চলে আসি।

১৯৯১-৯৬ সালে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী থাকাকালীন আমাদের দুটি সরকারী কলেজের ভবন নির্মান করি। সে সময় দাউদকান্দির দুটি সরকারী কলেজে শিক্ষক সংকট ছিলো।অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করতো। আমি বহুবার চেস্টা করেছি কিছু শিক্ষক আনার জন্য। সরকারী কলেজ বিদায় অনেকে আবার ট্রান্সফার হয়ে চলে যায়।

সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টায় দাউদকান্দি পৌর সদরে অবস্থিত ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজকে স্নাতক অধিভূক্তি ও ট্যালেন্ট শো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সে সময় চিন্তা করেছি কখনো সুযোগ হলে কলেজ করবো। যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট না হয়ে যায়। শিক্ষক ছিলাম, শিক্ষার প্রতি আমার আন্তরিকতা আছে। সে জন্যে ২টি বেসরকারি কলেজ, ২টি মাদরাসা ও ৩টি হাইস্কুল করেছি। এসব প্রতিষ্ঠান ২০০১-২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করি।

এই কলেজ ফলাফল ভালো করেছে। যার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ দুটিকে ডিগ্রিতে উন্নীত করেছে। আমরা অনার্স মাস্টার্স যাতে খুলতে পারি সে জন্যে এই অনুমোদন লাভ করেছি। অতীতে যেভাবে ফলাফল ভালো হয়েছে। আগামীতে ও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে৷

অনুষ্ঠানে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের গভনিং বডির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন,কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার,সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি একেএম সামচ্ছুল হক ও সাধারন সম্পাদক আবুল হাসেম সরকার,উপজেলা বিএনপি আহবায়ক এমএ লতিফ ভূঁইয়া,যুগ্ন-আহবায়ক জসিম উদ্দিন আহমেদ,আব্দুস সাত্তর,পৌর বিএনপি আহবায়ক ও অত্র কলেজের শিক্ষানুরাগী নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার,যুগ্ন-আহবায়ক সওগাত চৌধুরী পিটার,অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম ও অত্র কলেজের অভিভাবক সদস্য সাবেক কাউন্সিলর সালাউদ্দিন প্রমূখ।