০৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকাস্থ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উন্নয়ন সংস্থার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শাহরাস্তিতে খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কুমিল্লার হোমনায় একই পরিবারের তিন সদস্যের আইটিপি সাফল্য কুমিল্লা সাবেক-৯ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ; যান চলাচল বন্ধ কুমিল্লায় মসজিদে নামাজরত যুবককে ছুরিকাঘাত: অভিযুক্ত ২ জন গ্রেপ্তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস খালে, একই পরিবারের ৭ জন নিহত যারা নিজেদের স্বার্থে জনগণকে বঞ্চিত করে, তাদের বিএনপিতে ঠাঁই নেই -ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক শাহরাস্তিতে গণঅভ্যুত্থান দিবসের র‍্যালিতে অংশ নিতে এসে যুবদল নেতার মৃত্যু চৌদ্দগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিএনপি এক-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে জয় লাভ করবে: ড. খন্দকার মারুফ হোসেন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ব্যাচের ৪০ শিক্ষার্থীকে শোকজ

  • তারিখ : ০৯:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 2

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ৪০ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, সেশনজট নিরসন ও পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করায় তাদের এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কুবির ইতিহাসে একসঙ্গে এতজন শিক্ষার্থীকে শোকজের ঘটনা এই প্রথম।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন সই করা নোটিশে বলা হয়, আপনারা বিভাগীয় চতুর্থ ব্যাচ। গত ১ সেপ্টেম্বর তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের কটূক্তি ও বিব্রতকর মন্তব্য করেছেন। শিক্ষকের সঙ্গে আপনাদের একাডেমিক অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের স্ক্রিনশট শেয়ার করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এটি আপনারা করতে পারেন কি-না সে বিষয়ে বিভাগ জানতে চায়।

তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, যে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে সেখানে অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। আমরা এমনিতেই ভয়াবহ সেশনজটের কবলে ছিলাম। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা আন্দোলন করেছিলাম। এখন এই নোটিশ পেয়ে আমরা ভয়ে আছি। এখন আমাদের পরীক্ষা চলছে। এরমধ্যে এ নোটিশ দিয়ে আমাদের মানসিক চাপে রাখা হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি আমাদের ফলাফলে এর প্রভাব পড়বে।

এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, বিভাগের শিক্ষা-সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এবং করোনাকালীন অচলাবস্থায় যে সেশনজট তা নিয়ে ছাত্রদের মনে অসন্তোষ থাকতেই পারে। শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে তা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এটাকে ব্যবহার করে কোনো শিক্ষককে নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যামে মন্তব্য কেন করল? তাদের সমস্যাগুলো প্রথমে ছাত্র উপদেষ্টা বা বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে পারতো।

তিনি আরও বলেন, এই একটা ব্যাচ নানা সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, যেটা বিভাগকে বিব্রত করছে। তাদের চিঠি দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধু্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলবো।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ব্যাচের ৪০ শিক্ষার্থীকে শোকজ

তারিখ : ০৯:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ৪০ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, সেশনজট নিরসন ও পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করায় তাদের এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কুবির ইতিহাসে একসঙ্গে এতজন শিক্ষার্থীকে শোকজের ঘটনা এই প্রথম।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন সই করা নোটিশে বলা হয়, আপনারা বিভাগীয় চতুর্থ ব্যাচ। গত ১ সেপ্টেম্বর তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের কটূক্তি ও বিব্রতকর মন্তব্য করেছেন। শিক্ষকের সঙ্গে আপনাদের একাডেমিক অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের স্ক্রিনশট শেয়ার করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এটি আপনারা করতে পারেন কি-না সে বিষয়ে বিভাগ জানতে চায়।

তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, যে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে সেখানে অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। আমরা এমনিতেই ভয়াবহ সেশনজটের কবলে ছিলাম। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা আন্দোলন করেছিলাম। এখন এই নোটিশ পেয়ে আমরা ভয়ে আছি। এখন আমাদের পরীক্ষা চলছে। এরমধ্যে এ নোটিশ দিয়ে আমাদের মানসিক চাপে রাখা হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি আমাদের ফলাফলে এর প্রভাব পড়বে।

এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, বিভাগের শিক্ষা-সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এবং করোনাকালীন অচলাবস্থায় যে সেশনজট তা নিয়ে ছাত্রদের মনে অসন্তোষ থাকতেই পারে। শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে তা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এটাকে ব্যবহার করে কোনো শিক্ষককে নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যামে মন্তব্য কেন করল? তাদের সমস্যাগুলো প্রথমে ছাত্র উপদেষ্টা বা বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে পারতো।

তিনি আরও বলেন, এই একটা ব্যাচ নানা সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, যেটা বিভাগকে বিব্রত করছে। তাদের চিঠি দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধু্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলবো।