০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব নিহত বুড়িচংয়ে হুইলচেয়ার, সেলাই মেশিন ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করলেন ড. মোবারক হোসেন ধানের শীষের প্রার্থী ড. মোশাররফ হোসেনের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ শুরু দাউদকান্দিতে নিসচা’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার : ৯ আসামি গ্রেফতার কুমিল্লা ইপিজেডে বকেয়া বেতনের দাবিতে নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ কুমিল্লায় টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি; দুই ঘণ্টা সেবা বন্ধ নবগঠিত বুড়িচং পৌরসভার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন : পিআরএ কর্মশালা অনুষ্ঠিত জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিকদের স্বাধীন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হবে: ড. মোবারক হোসেন

কুমিল্লায় ৫ তলার অনুমতি নিয়ে ১১ তলা নির্মাণ; ভাঙা শুরু করেছে সিটি করপোরেশন

  • তারিখ : ০৯:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • 39

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা নগরীতে বারবার নোটিশ দেয়ার পরেও একটি ভবন ১১ তলা নির্মাণ করায় ভবনটি ভাঙা শুরু করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দেশওয়ালিপট্টিতে ৫ তলার ভবনটি অনুমোদন না নিয়ে ১১ তলা নির্মাণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাঘেঁষা এই ভবনটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই নির্মাণকাজ চলছিল।

তালুকদার হাউস নামে ওই ভবনটির মালিক সাদেকুল ইসলাম। কুমিল্লা পৌরসভা থাকার সময়ে তিনি জায়গাটিতে ৫ তলা ভবনের অনুমোদন নেন।

পরে ৫ তলার ওপর গড়ে তোলেন আরও ৬ তলা। গলির ভেতরে ও ভবনের সামনে অন্য ভবন থাকায় দীর্ঘদিন প্রশাসনের চোখে পড়েনি এই ভবনটি।

সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, নকশাবহির্ভূত ও ভবন নির্মাণ আইন অমান্য করে নির্মাণকাজ চলছিল। এ অবস্থায় ভবনমালিককে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেয় সিটি কর্তৃপক্ষ।

পরে কয়েকবার ভবনের সামনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়। এমনকি বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করেও দমানো যায়নি ভবনের মালিককে। সর্বশেষ সোমবার সিটি কর্তৃপক্ষ ভবনের মালিককে আবারও চিঠি দেয়। মঙ্গলবার তাকে ওই ভবনে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

কিন্তু সকালে কুমিল্লা সিটি মেয়রসহ কর্তৃপক্ষ ওই ভবনে গিয়েও পায়নি মালিককে। পরে সিটি করপোরেশনে কর্মরত শ্রমিকরা হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ওই ভবনটি ভাঙা শুরু করেন।

ভবনের ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, মালিক বাড়িতে নেই। তিনি আগেই ভাড়াটিয়াদের নোটিশ দিয়েছেন। পুরো ভবন খালি থাকলে ৭ তলায় একটি পরিবার রয়েছে। তারাও দুই-এক দিনের মধ্যে ছেড়ে দেবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, ভবনের মালিককে বারবার নোটিশ দেয়ার পরও তিনি তা মানেননি। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবনের বর্ধিত অংশ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, সিটি কর্তৃপক্ষ নগরীতে যেসব ভবন নকশাবহির্ভূত ও নকশার অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠেছে, সেগুলোর তালিকা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জনবলসংকটের কারণে প্রক্রিয়াটিতে ধীরগতি থাকলেও এই ব্যবস্থা চলবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ৫ তলার অনুমতি নিয়ে ১১ তলা নির্মাণ; ভাঙা শুরু করেছে সিটি করপোরেশন

তারিখ : ০৯:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা নগরীতে বারবার নোটিশ দেয়ার পরেও একটি ভবন ১১ তলা নির্মাণ করায় ভবনটি ভাঙা শুরু করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দেশওয়ালিপট্টিতে ৫ তলার ভবনটি অনুমোদন না নিয়ে ১১ তলা নির্মাণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাঘেঁষা এই ভবনটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই নির্মাণকাজ চলছিল।

তালুকদার হাউস নামে ওই ভবনটির মালিক সাদেকুল ইসলাম। কুমিল্লা পৌরসভা থাকার সময়ে তিনি জায়গাটিতে ৫ তলা ভবনের অনুমোদন নেন।

পরে ৫ তলার ওপর গড়ে তোলেন আরও ৬ তলা। গলির ভেতরে ও ভবনের সামনে অন্য ভবন থাকায় দীর্ঘদিন প্রশাসনের চোখে পড়েনি এই ভবনটি।

সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, নকশাবহির্ভূত ও ভবন নির্মাণ আইন অমান্য করে নির্মাণকাজ চলছিল। এ অবস্থায় ভবনমালিককে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেয় সিটি কর্তৃপক্ষ।

পরে কয়েকবার ভবনের সামনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়। এমনকি বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করেও দমানো যায়নি ভবনের মালিককে। সর্বশেষ সোমবার সিটি কর্তৃপক্ষ ভবনের মালিককে আবারও চিঠি দেয়। মঙ্গলবার তাকে ওই ভবনে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

কিন্তু সকালে কুমিল্লা সিটি মেয়রসহ কর্তৃপক্ষ ওই ভবনে গিয়েও পায়নি মালিককে। পরে সিটি করপোরেশনে কর্মরত শ্রমিকরা হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ওই ভবনটি ভাঙা শুরু করেন।

ভবনের ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, মালিক বাড়িতে নেই। তিনি আগেই ভাড়াটিয়াদের নোটিশ দিয়েছেন। পুরো ভবন খালি থাকলে ৭ তলায় একটি পরিবার রয়েছে। তারাও দুই-এক দিনের মধ্যে ছেড়ে দেবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, ভবনের মালিককে বারবার নোটিশ দেয়ার পরও তিনি তা মানেননি। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবনের বর্ধিত অংশ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, সিটি কর্তৃপক্ষ নগরীতে যেসব ভবন নকশাবহির্ভূত ও নকশার অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠেছে, সেগুলোর তালিকা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জনবলসংকটের কারণে প্রক্রিয়াটিতে ধীরগতি থাকলেও এই ব্যবস্থা চলবে।