১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাঙ্গরায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত অফিসের শুভ উদ্বোধন চান্দিনায় সবুজ গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদককে লাল কার্ড দেখালো শিক্ষার্থীরা সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ; ১৫৩ জনের মধ্যে ১৩৮ জন ফেল; পাসের হার মাত্র ৯.৮০% কুমিল্লা বোর্ডের ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কেউ কুমিল্লায় খেলতে বের হয়ে পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু টানা ১৪ বছর কুমিল্লা বোর্ডসেরা সোনার বাংলা কলেজ; শতভাগ পাস, ১৪৮ জন জিপিএ-৫ জিপিএ-৫ পেল কুমিল্লা সোনার বাংলা কলেজের পায়েল ইসলাম; ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন না হলে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধের হুমকি প্রবাসীদের বুড়িচংয়ে একাধিক মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা শামীম গ্রেপ্তার মুরাদনগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৪৫০পিস ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

শুভপুরের সন্ত্রাসী হামলার মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি-হুমকির অভিযোগ

  • তারিখ : ১১:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • 22

স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লা নগরীর শুভপুরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করে হুমকির মুখে পড়েছেন মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজন। ওই হামলার ইন্ধনদাতা ও হামলাকারিদের পিতা মুসা মিয়া আটকের পর জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদী ও তার স্বামীকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি-হুমকি দিচ্ছে। এমনকি মুসা মিয়ার তিন পুত্র আত্মগোপনে থেকে বিভিন্নভাবে মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজনকে মামলা করার প্রতিফল ভয়ানক হবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

মামলার বাদী নাজমা বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন-আত্মীয়তার সূত্রে মুসা মিয়ার পুত্র পাভেল ও রবিনের কাছে ব্যবসায়িক কাজের নগদ ৩ লাখ টাকা জমা রাখেন তার পুত্র খাইরুল। বেশ কিছুদিন আগে একটি জায়গা ক্রয়ের ব্যাপারে ওই তিন লাখ টাকা থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেয় খাইরুল। পরবর্তীতে বাকী টাকা চাইলে গেলে গত ২৮ অক্টোবর শুভপুর এলাকায় মুসার ইন্ধনে তার তিন পুত্র পাভেল, রবিন ও জুমুন সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে খাইরুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় খাইরুলের স্ত্রী, নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী-কন্যাও আহত হয়।হামলাকারিরা হামলার শিকার নারীদের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করা হয়।

ওই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় খাইরুলকে। পরে অস্থার অবনিত ঘটায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে ঘটনার দিন ৯৯৯ -এ ফোন পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে হামলার বিষয়টি অবগত হন এবং আহত খাইরুলকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ ইন্ধনদাতা ও হামলাকারি পাভেল, রবিন, জুমুনের পিতা মুসা মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) মুসা মিয়া জামিনে বেরিয়ে আসেন।

এরপর থেকে তিনি মামলা তুলে নিতে ভংভীতি দেখাচ্ছেন। তার তিন সন্তান এ মামলার আসামি পাভেল, রবিন, জুমুনও মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজনের গতিবিধির ওপর রাখছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে মামলার বাদী নাজমা বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন। তারা আত্মগোপনে থাকা আাসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।

error: Content is protected !!

শুভপুরের সন্ত্রাসী হামলার মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি-হুমকির অভিযোগ

তারিখ : ১১:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লা নগরীর শুভপুরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করে হুমকির মুখে পড়েছেন মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজন। ওই হামলার ইন্ধনদাতা ও হামলাকারিদের পিতা মুসা মিয়া আটকের পর জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদী ও তার স্বামীকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি-হুমকি দিচ্ছে। এমনকি মুসা মিয়ার তিন পুত্র আত্মগোপনে থেকে বিভিন্নভাবে মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজনকে মামলা করার প্রতিফল ভয়ানক হবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

মামলার বাদী নাজমা বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন-আত্মীয়তার সূত্রে মুসা মিয়ার পুত্র পাভেল ও রবিনের কাছে ব্যবসায়িক কাজের নগদ ৩ লাখ টাকা জমা রাখেন তার পুত্র খাইরুল। বেশ কিছুদিন আগে একটি জায়গা ক্রয়ের ব্যাপারে ওই তিন লাখ টাকা থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেয় খাইরুল। পরবর্তীতে বাকী টাকা চাইলে গেলে গত ২৮ অক্টোবর শুভপুর এলাকায় মুসার ইন্ধনে তার তিন পুত্র পাভেল, রবিন ও জুমুন সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে খাইরুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় খাইরুলের স্ত্রী, নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী-কন্যাও আহত হয়।হামলাকারিরা হামলার শিকার নারীদের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করা হয়।

ওই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় খাইরুলকে। পরে অস্থার অবনিত ঘটায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে ঘটনার দিন ৯৯৯ -এ ফোন পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে হামলার বিষয়টি অবগত হন এবং আহত খাইরুলকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ ইন্ধনদাতা ও হামলাকারি পাভেল, রবিন, জুমুনের পিতা মুসা মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) মুসা মিয়া জামিনে বেরিয়ে আসেন।

এরপর থেকে তিনি মামলা তুলে নিতে ভংভীতি দেখাচ্ছেন। তার তিন সন্তান এ মামলার আসামি পাভেল, রবিন, জুমুনও মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজনের গতিবিধির ওপর রাখছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে মামলার বাদী নাজমা বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন। তারা আত্মগোপনে থাকা আাসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।