০১:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
“আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানের সৈনিক, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই”- কামরুল হুদা মুরাদনগরে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পেলেন ২৮০ জন নারী-পুরুষ কুমিল্লায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে স্বামীর আত্মহত্যা চৌদ্দগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী নারীর জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি কুমিল্লায় সবুজের স্বপ্নপুরিতে টিফিনের টাকায় ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ কুমিল্লায় নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর কুবিতে হাল্ট প্রাইজের নতুন আয়োজক কমিটি ঘোষণা কুমিল্লায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার কুমিল্লায় অপহরণের ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি একমাত্র ছেলে, বাকরুদ্ধ বাবা-মা বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনায় কুমিল্লায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত

কুমিল্লা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়া

  • তারিখ : ১০:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • 48

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে কারামুক্ত হলেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সেই নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। আজ সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হন তিনি।

শামীমা নূর পাপিয়ার জামিনে বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পাপিয়া জামিনে কারামুক্ত হন। এর আগে বিকেলে তাঁর জামিনের কাগজপত্র এলে তা যাচাই–বাছাই করে তাঁকে কারামুক্ত করা হয়।

আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, পাপিয়ার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। এর আগে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় নিম্ন আদালত তাঁকে ২০ বছরের সাজা দেন। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। বাকি পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে৷ গুলশান থানায় দায়েরকৃত মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় আজ তিনি জামিন পান।

এর আগে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন পাপিয়া। সেখানে এক নারী বন্দীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরপরই ২০২৩ সালে ৩ জুলাই তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের রেকর্ড বইয়ে পাপিয়ার বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, পাপিয়া হাজতি রুনা লায়লা ছাড়াও কয়েকজন বন্দীকে গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখাতে আঘাত করেছেন। এ ছাড়া তিনি কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনে অন্য বন্দী দিতে চাইলে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

পাপিয়া গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে কারারক্ষীদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ইচ্ছেমতো অন্য বন্দীদের সেল পরিবর্তন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর কক্ষ তল্লাশি করে স্মার্টফোন ও চার্জার পাওয়া যায়।

ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেন পাপিয়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে আঁচ পেয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর পাপিয়াকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই বছরই অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এখনো তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার বিচার চলছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়া

তারিখ : ১০:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে কারামুক্ত হলেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সেই নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া। আজ সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হন তিনি।

শামীমা নূর পাপিয়ার জামিনে বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পাপিয়া জামিনে কারামুক্ত হন। এর আগে বিকেলে তাঁর জামিনের কাগজপত্র এলে তা যাচাই–বাছাই করে তাঁকে কারামুক্ত করা হয়।

আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, পাপিয়ার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। এর আগে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় নিম্ন আদালত তাঁকে ২০ বছরের সাজা দেন। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। বাকি পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে৷ গুলশান থানায় দায়েরকৃত মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় আজ তিনি জামিন পান।

এর আগে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন পাপিয়া। সেখানে এক নারী বন্দীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরপরই ২০২৩ সালে ৩ জুলাই তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের রেকর্ড বইয়ে পাপিয়ার বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, পাপিয়া হাজতি রুনা লায়লা ছাড়াও কয়েকজন বন্দীকে গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখাতে আঘাত করেছেন। এ ছাড়া তিনি কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনে অন্য বন্দী দিতে চাইলে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

পাপিয়া গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে কারারক্ষীদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ইচ্ছেমতো অন্য বন্দীদের সেল পরিবর্তন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর কক্ষ তল্লাশি করে স্মার্টফোন ও চার্জার পাওয়া যায়।

ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেন পাপিয়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে আঁচ পেয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর পাপিয়াকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই বছরই অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এখনো তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার বিচার চলছে।