১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় উল্টো পথে আসা পিকআপে ধাক্কা, মোটরসাইকেল চালক নিহত কুমিল্লা নিউজের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ কুমিল্লায় বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে আহত এক নারীসহ ২ জনের মৃত্যু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে মব তৈরি করে ৩ সাংবাদিক হেনস্তা ব্রাহ্মণপাড়ায় স্কুল পরিদর্শনে ইউএনও, ক্লাস নিলেন শিক্ষার্থীদের কুমিল্লায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন আহত; ২ জনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন কুমিল্লায় সেনা অভিযানে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক, বিপুল অস্ত্র-সামগ্রী জব্দ জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালী মুরাদনগরে অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে ছাই, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি কুমিল্লায় বাল্যবিয়ের খবর বিয়ে বাড়ীতে অভিযান; বরের বাবাকে জরিমানা

কুমিল্লা নিউজের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

  • তারিখ : ০৮:১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 460

কুমিল্লা নিউজ।।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কুমিল্লা নিউজে প্রকাশিত ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়-২৪ হলে নারী-পুরুষ; শিক্ষার্থীরা বিব্রত’ শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তু দাশ।

প্রতিবাদে দাবি করা হয়, প্রকাশিত সংবাদ বিকৃত, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর। উক্ত সংবাদে অনুমতি ছাড়া আমার পরিবারের তোলা ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, এছাড়াও বিনা অনুমতিতে আমার রুমে প্রবেশ করেছে যা সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

এতে আরও বলেন, ঘটনার দিন (১০ সেপ্টেম্বর) আমার খালার পরিবার চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা আসে এবং আমাকে দেখার জন্য আমার ক্যাম্পাস আসে। ঘোরাঘুরি শেষে বিশ্রামে জন্য আমার হলে আসে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করে। আমাদের হলে গেস্ট রুম না থাকায় ভদ্রতার খাতিরে তাদেরকে আমার কক্ষে বিশ্রামের জন্য নিয়ে যাই। বিষয়টি জানাতে আমি সঙ্গে সঙ্গেই হলে কর্মরত অফিস সহকারী মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামকে অবগত করি। তিনি বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেন এবং আশ্বস্ত করেন। এসময় আমার রুমমেটরাও আমার কক্ষে উপস্থিত ছিল।

প্রতিবাদে আরও বলা হয়, কিছুক্ষণ পর ক্যাম্পাস সাংবাদিক খায়রুল আমিন মাসুম আমার কক্ষে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে এবং আমার পরিবারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। তাদের আপত্তি সত্ত্বেও ছবি তোলে। আমার খালু এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক জানান যে, ছবি শুধু হলে গ্রুপে শেয়ার করা হবে। বিজয়-২৪ হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান খান হলে আসলে আমি তাঁকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি আমার ব্যাখ্যা শুনে নিশ্চিত হন যে, তারা আমার খালা-খালু ও খালাতো ভাই ছিলেন। বিষয়টি তখনই সমাধান হয়ে যায় এবং তিনি কেবল পরবর্তীতে পরিবার এলে তাঁকে জানাতে বলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ৭ টা ৪৫ মিনিটে বি এম ফয়সালের নিউজ পোর্টাল কুমিল্লা নিউজ (Cumilla News)-এ সেই ছবিটি বিভ্রান্তিকর শিরোনামে প্রকাশিত হয়।

প্রতিবাদলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকাশিত ঐ সংবাদের মাধ্যমে আমার (অন্তু দাশ) পরিবারের উপস্থিতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে যে হলে শিক্ষার্থীরা বিব্রত হয়েছেন। বাস্তবে হলে কোনো শিক্ষার্থী এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েননি; বরং তাঁরা বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।

এছাড়া অভিযোগে বলা হয়, উক্ত সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিকৃত ও মানহানিকর। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতার নীতি ও শিষ্টাচারের পরিপন্থী। ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি ও উক্ত বিষয়ে একটি সংশোধনী প্রকাশ করার অনুরোধ করছি। অন্যথায় আমার ও আমার পরিবারের সামাজিক সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার আমি এই সংবাদ মাধ্যম ও প্রতিবেদকের বিষয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের নিয়ম অনুযায়ী হলে বহিরাগত নারী-পুরুষের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। কিন্তু অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী অন্তু দাশ হলের ৩১২ নাম্বার কক্ষে বহিরাগত এক নারীকে নিজের খালা পরিচয়ে ও দুইজন পুরুষকে বিনা অনুমতিতে রুমে নিয়ে আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেদকের একজন সহকর্মী বহিরাগতদের হলে প্রবেশের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চান। প্রতিউত্তরে অন্তু দাশ হল প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন বলে জানান।

কিন্তু পরবর্তীতে প্রতিবেদক খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি হল প্রশাসনের অনুমতি নেননি। এবং এবিষয়ে হলের প্রভোস্ট মাহমুদুল হাসান খান তাকে প্রথমে মৌখিক ভাবে সতর্ক করেন এবং পরবর্তীতে অনুমতি ব্যতিরেকে হলে গেস্ট (নারী-পুরুষের) প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত জানিয়ে প্রশাসন থেকে একটি নোটিশ দেয়া হয়।

হলের নিয়ম অমান্য করে বহিরাগত প্রবেশের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদক “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়-২৪ হলে নারী-পুরুষ; শিক্ষার্থীরা বিব্রত” শিরোনামে নিউজটি গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রেরণ করে। যা ওইদিনই প্রকাশিত হয়।

এদিকে এই সংবাদ প্রকাশের পর হলের ২০-৩০ জন শিক্ষার্থী প্রতিবেদককে মারার জন্য হলের ৩০৫ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন। তাদের বাধা দিতে গেলে প্রতিবেদকের বেশ কয়েকজন সহকর্মীকেও তারা শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মেসেঞ্জারগ্রুপে বুলিং করার পাশাপাশি নিয়মিত হুমকি দিয়ে থাকেন৷ যা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী।

যদিও প্রতিবেদকের এই প্রতিবেদনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল হলের নিয়ম অমান্য করে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার বিষয়টিকে সামনে তুলে ধরা। তবুও প্রতিবেদকের উক্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে যদি কুবির অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী অন্তু দাশ ও তার পরিবার মানহানির শিকার হয়ে থাকে তার জন্য প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ।

error: Content is protected !!

কুমিল্লা নিউজের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

তারিখ : ০৮:১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুমিল্লা নিউজ।।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কুমিল্লা নিউজে প্রকাশিত ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়-২৪ হলে নারী-পুরুষ; শিক্ষার্থীরা বিব্রত’ শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তু দাশ।

প্রতিবাদে দাবি করা হয়, প্রকাশিত সংবাদ বিকৃত, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর। উক্ত সংবাদে অনুমতি ছাড়া আমার পরিবারের তোলা ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, এছাড়াও বিনা অনুমতিতে আমার রুমে প্রবেশ করেছে যা সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

এতে আরও বলেন, ঘটনার দিন (১০ সেপ্টেম্বর) আমার খালার পরিবার চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা আসে এবং আমাকে দেখার জন্য আমার ক্যাম্পাস আসে। ঘোরাঘুরি শেষে বিশ্রামে জন্য আমার হলে আসে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করে। আমাদের হলে গেস্ট রুম না থাকায় ভদ্রতার খাতিরে তাদেরকে আমার কক্ষে বিশ্রামের জন্য নিয়ে যাই। বিষয়টি জানাতে আমি সঙ্গে সঙ্গেই হলে কর্মরত অফিস সহকারী মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামকে অবগত করি। তিনি বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেন এবং আশ্বস্ত করেন। এসময় আমার রুমমেটরাও আমার কক্ষে উপস্থিত ছিল।

প্রতিবাদে আরও বলা হয়, কিছুক্ষণ পর ক্যাম্পাস সাংবাদিক খায়রুল আমিন মাসুম আমার কক্ষে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে এবং আমার পরিবারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। তাদের আপত্তি সত্ত্বেও ছবি তোলে। আমার খালু এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক জানান যে, ছবি শুধু হলে গ্রুপে শেয়ার করা হবে। বিজয়-২৪ হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান খান হলে আসলে আমি তাঁকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি আমার ব্যাখ্যা শুনে নিশ্চিত হন যে, তারা আমার খালা-খালু ও খালাতো ভাই ছিলেন। বিষয়টি তখনই সমাধান হয়ে যায় এবং তিনি কেবল পরবর্তীতে পরিবার এলে তাঁকে জানাতে বলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ৭ টা ৪৫ মিনিটে বি এম ফয়সালের নিউজ পোর্টাল কুমিল্লা নিউজ (Cumilla News)-এ সেই ছবিটি বিভ্রান্তিকর শিরোনামে প্রকাশিত হয়।

প্রতিবাদলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকাশিত ঐ সংবাদের মাধ্যমে আমার (অন্তু দাশ) পরিবারের উপস্থিতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে যে হলে শিক্ষার্থীরা বিব্রত হয়েছেন। বাস্তবে হলে কোনো শিক্ষার্থী এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েননি; বরং তাঁরা বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।

এছাড়া অভিযোগে বলা হয়, উক্ত সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিকৃত ও মানহানিকর। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতার নীতি ও শিষ্টাচারের পরিপন্থী। ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি ও উক্ত বিষয়ে একটি সংশোধনী প্রকাশ করার অনুরোধ করছি। অন্যথায় আমার ও আমার পরিবারের সামাজিক সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার আমি এই সংবাদ মাধ্যম ও প্রতিবেদকের বিষয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের নিয়ম অনুযায়ী হলে বহিরাগত নারী-পুরুষের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। কিন্তু অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী অন্তু দাশ হলের ৩১২ নাম্বার কক্ষে বহিরাগত এক নারীকে নিজের খালা পরিচয়ে ও দুইজন পুরুষকে বিনা অনুমতিতে রুমে নিয়ে আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেদকের একজন সহকর্মী বহিরাগতদের হলে প্রবেশের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চান। প্রতিউত্তরে অন্তু দাশ হল প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন বলে জানান।

কিন্তু পরবর্তীতে প্রতিবেদক খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি হল প্রশাসনের অনুমতি নেননি। এবং এবিষয়ে হলের প্রভোস্ট মাহমুদুল হাসান খান তাকে প্রথমে মৌখিক ভাবে সতর্ক করেন এবং পরবর্তীতে অনুমতি ব্যতিরেকে হলে গেস্ট (নারী-পুরুষের) প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত জানিয়ে প্রশাসন থেকে একটি নোটিশ দেয়া হয়।

হলের নিয়ম অমান্য করে বহিরাগত প্রবেশের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদক “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়-২৪ হলে নারী-পুরুষ; শিক্ষার্থীরা বিব্রত” শিরোনামে নিউজটি গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রেরণ করে। যা ওইদিনই প্রকাশিত হয়।

এদিকে এই সংবাদ প্রকাশের পর হলের ২০-৩০ জন শিক্ষার্থী প্রতিবেদককে মারার জন্য হলের ৩০৫ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন। তাদের বাধা দিতে গেলে প্রতিবেদকের বেশ কয়েকজন সহকর্মীকেও তারা শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মেসেঞ্জারগ্রুপে বুলিং করার পাশাপাশি নিয়মিত হুমকি দিয়ে থাকেন৷ যা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী।

যদিও প্রতিবেদকের এই প্রতিবেদনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল হলের নিয়ম অমান্য করে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার বিষয়টিকে সামনে তুলে ধরা। তবুও প্রতিবেদকের উক্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে যদি কুবির অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী অন্তু দাশ ও তার পরিবার মানহানির শিকার হয়ে থাকে তার জন্য প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ।