মনির খাঁন।।
সিএনজি চালিত অটোরিকশার দখলে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক মুরাদনগর উপজেলা কোম্পানিগঞ্জ বাজারএলাকার মহাসড়ক। এসব অটোরিকশার কারণে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসীর চলাফেরা দুঃসহ হয়ে পড়েছে। চরম আকার ধারণ করেছে মানুষের ভোগান্তি।
অটোরিকশা (সিএনজি)চালকরা মহাসড়কে যেখানে-সেখানে অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করেন। উপজেলা কোম্পানিগঞ্জ বাজার মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ঘোষিত স্ট্যান্ড থাকাসত্ত্বেও সড়কের উপরে অঘোষিত স্ট্যান্ড স্থাপন করে রেখেছেন একটি চক্র। এজন্য দিনভর যানজট লেগে থাকে ব্যস্ততম এ সড়কটিতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যস্ততম সড়কটিতে অটোরিকশার রাজত্ব। সড়কের পুরোটাই তাদের দখলে। সড়কটির মুরাদনগর উপজেলা অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে,এই আঞ্চলিক মহাসড়কে স্ট্যান্ড বসিয়ে চলছে তাদের রাজত্ব। উপজেলা কোম্পানিগঞ্জ বাজার চত্ত্বর থেকে ১৪ ও১৫ নং নবীপুর পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের আরও অনেক জায়গাজুড়ে মহাসড়কের উপরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় কয়েক’শ অটোরিকশা সিএনজি।
এসব স্ট্যান্ড থেকে কিছু ব্যক্তির চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে সড়কের মূল ফটক দিয়ে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে কিংবা চলাচল করতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এমনকি এই অটোরিকশা অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দিনভর উপজেলার বিভিন্ন প্রবেশপথে অটোরিকশা যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে।
এলাকার স্থানীয়রা হাইওয়ে থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, হাইওয়ের থানার ওসি ও ইউএনও ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন না। উপজেলা কোম্পানিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী পথচারীরা বলেন মানুষ আর পুরনো কথা বলতে চান না, তারা চান এর দ্রুত সমাধান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পথচারী কয়েকজন জানান, এ মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত গাড়ি চলাচল করে। হাজার হাজার মানুষ এ পথের যাত্রী। সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড ও এলোপাতাড়ি চলাচল এবং যাত্রী উঠানামার কারণে এসব মানুষের দুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ হাইওয়ে থানা পুলিশ উপজেলা প্রশাসন অবৈধ স্ট্যান্ড সড়ানোর জন্য কোন উদ্যোগই নিচ্ছেন না।
উপজেলা ১৫ নং নবীপুড় পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন বলেন আমি এবং ১৪ নং নবীপুড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গতমাসে উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আমরা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে অটোরিকশা সিএনজি মহাসড়কের উপর থেকে সরানোর ব্যবস্থা করছি।
মিরপুর হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম পি,পি,এম এই বিষয়ে বলেন আমার হাইওয়ে পুলিশ সর্ব অবস্থায় কাজ করে যাচ্ছি এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর অটোরিকশা সিএনজি জব্দসহ নিয়মিত মামলা দিচ্ছি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি বলেন,স্হায়ী স্ট্যান্ড থাকাসত্ত্বেও মহাসড়কের উপর সিএনজি অটেরিকশা দাঁড় করিয়ে রেখে চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্য প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page