০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাড়ি চালিয়ে কুমিল্লা ফিরছিলেন, পথে মোটরসাইকেল ধাওয়া; চিকিৎসকের মৃত্যু কুমিল্লার নগরীতে বিশেষ অভিযানে ৫ জন গ্রেপ্তার, ইয়াবা-অস্ত্র-নগদ টাকা উদ্ধার যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন হবেই: ড. খন্দকার মারুফ হোসেন ডাকসু নির্বাচনে ভিপি, সম্পাদক ও সদস্য পদে লড়ছেন দাউদকান্দির চার শিক্ষার্থী কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ কুমিল্লায় হাসপাতাল থেকে ২০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কুমিল্লায় জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে পিটিয়ে ও অণ্ডকোষ চেপে হত্যা ডাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র-নারী হেনস্তার প্রতিবাদে কুমিল্লায় ছাত্রশিবিরের মিছিল নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় গণঅধিকার পরিষদের মিছিল যারা পিআর ছাড়া নির্বাচন চায় না তাদের পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে- মো. আবুল কালাম

কুমিল্লায় অফিসে ঢুকে দুই সাংবাদিককে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার মারধর

  • তারিখ : ১২:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • 16

চান্দিনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনায় অফিসে ঢুকে দুই সাংবাদিককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বেছাসেবকলীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো. শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানার সামনে স্কুল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিকদের অফিসে এসে এ ঘটনা ঘটান শামীম।

ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক হলেন-দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি আকিবুল ইসলাম হারেছ ও দৈনিক মুক্তখবরের সোহেল রানা। অভিযুক্ত হাজী মো. শামীম হোসেন চান্দিনা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, তারা তিন সংবাদকর্মী অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় দেখতে পান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেনের লোকেরা পোস্ট অফিসের দেয়ালে থাকা আরেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন সিআইপির পোস্টারের ওপর পোস্টার লাগাচ্ছে। এ সময় সাংবাদিক আকিবুল ইসলাম হারেছ ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে তা দেখে তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করতে আসে। হারেছকে হেনস্থা করতে দেখে সাংবাদিক সোহেল রানা তার ভিডিও ধারণ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন ২০-২৫ জনের বাহিনী নিয়ে অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করে।

সাংবাদিক সোহেল রানা জানান, এর আগে ড্রেজিংয়ের নিউজের ঘটনায় এক ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেওয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন শামীম। আজ (শুক্রবার) ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করে আমাদের মারধর করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল সম্পর্কে শামীম হোসেনের আত্মীয় হন। শামীম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, ‘তোর কারণে একটা লোক তিন মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে জেলহাজতে। আজ তোকে মেরেই ফেলবো।’

অভিযুক্ত হাজী মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘যারা আমার পোস্টার লাগিয়েছে তারা হয়তো ভুলে অন্য কারো পোস্টারের ওপর লাগিয়েছে। এ নিয়ে দুইটা ছেলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আমি বিষয়টি জানতে গিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা সাংবাদিক কিনা প্রথমে জানতে পারিনি। পরে আমি তাদের সরি বলেছি। এটা আসলে ভুল বোঝাবুঝি।’

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় অফিসে ঢুকে দুই সাংবাদিককে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার মারধর

তারিখ : ১২:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

চান্দিনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনায় অফিসে ঢুকে দুই সাংবাদিককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বেছাসেবকলীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো. শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানার সামনে স্কুল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিকদের অফিসে এসে এ ঘটনা ঘটান শামীম।

ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক হলেন-দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি আকিবুল ইসলাম হারেছ ও দৈনিক মুক্তখবরের সোহেল রানা। অভিযুক্ত হাজী মো. শামীম হোসেন চান্দিনা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, তারা তিন সংবাদকর্মী অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় দেখতে পান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেনের লোকেরা পোস্ট অফিসের দেয়ালে থাকা আরেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন সিআইপির পোস্টারের ওপর পোস্টার লাগাচ্ছে। এ সময় সাংবাদিক আকিবুল ইসলাম হারেছ ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে তা দেখে তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করতে আসে। হারেছকে হেনস্থা করতে দেখে সাংবাদিক সোহেল রানা তার ভিডিও ধারণ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন ২০-২৫ জনের বাহিনী নিয়ে অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করে।

সাংবাদিক সোহেল রানা জানান, এর আগে ড্রেজিংয়ের নিউজের ঘটনায় এক ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেওয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন শামীম। আজ (শুক্রবার) ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করে আমাদের মারধর করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল সম্পর্কে শামীম হোসেনের আত্মীয় হন। শামীম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, ‘তোর কারণে একটা লোক তিন মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে জেলহাজতে। আজ তোকে মেরেই ফেলবো।’

অভিযুক্ত হাজী মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘যারা আমার পোস্টার লাগিয়েছে তারা হয়তো ভুলে অন্য কারো পোস্টারের ওপর লাগিয়েছে। এ নিয়ে দুইটা ছেলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আমি বিষয়টি জানতে গিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা সাংবাদিক কিনা প্রথমে জানতে পারিনি। পরে আমি তাদের সরি বলেছি। এটা আসলে ভুল বোঝাবুঝি।’