কুমিল্লায় বাঁশের সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে; হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

মনির খাঁন।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামের রোয়াচলা-কুড়াখাল সড়কের রোয়াচালা দক্ষিণ পাড়া আহাদ মিয়ার বাড়ীর পাশ্বের খালে অপরিকল্পিত ভাবে ব্রিজ নির্মাণ করায় জনদুভোর্গ বেড়েছে।

প্রায় দুই বছর পূর্বে ব্রীজটি নিমার্ণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) কর্মসূচীর অধীন এই ব্রীজটি নিমার্ণ করা হয়। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ এখনই প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা না নিলে যে কোন সময় বড় আকাওে যে কোন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে স্থানীয়দের।

ঠিকাদারের সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকতার্র যোগসাজশে এই কালর্ভাটটি নিমার্ণ করে সরকারি অর্থের লুটপাট হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দিকে নজর দিবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২৫/৩০ ফুট প্রস্থ্য খালের উপর নিমার্ণ করা হয়েছে এই ব্রীজটি।

ব্রীজটির দুই পাশ দিয়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে রোয়াচলা-কুড়াখাল সড়ক দিয়ে তিন গ্রামের প্রায় পাচঁ হাজার লোক যাতায়াত করছেন। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুন্ডি গ্রামে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়কের জন্য মাটির বরাদ্ধ থাকলেও সেখানে মাটি ফেলায় স্থানীয়দেও মাঝে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।

জানা যায়, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ির সামনে কুড়াখাল সড়কের উপর ব্রীজ নিমার্ণ ও সংযোগ সড়কের জন্য ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্ধ দেওয়া হয় ।

যা গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হয়। নাম প্রকাশে না করার শর্তে গ্রামবাসীর অভিযোগ, কোন পরিকল্পনা না করেই প্রকল্পের শেষ পর্যায় এসে পকেট ভারি করতেই তড়িঘড়ি করে অপরিকল্পিত ভাবে কালভার্টি নির্মাণ করা হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা মধ্যদিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে মানুষের কাজে লাগতো এবং সরকারী টাকা অপচয় হতো না।

শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল বাহার মুঠো ফোনে জানান, ব্রিজটির দুই পাশে খুব গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল তা দিয়ে সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে ব্রিজের সাথে সংযোগ করে দেয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মোহাম্মদ আব্দুল হাই খান বলেন, “এলজিএসপি” প্রকল্পটি আমার আওতায় না। এটি চেয়ারম্যানদের প্রকল্প। এই প্রকল্পে’র দায়িত্বে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, আমি মুরাদনগর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পূর্বে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুতই সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে সড়কের সাথে ব্রিজটির সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page