হোমনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় ভূয়া কাগজ পত্র তৈরী করে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে ঘারমোড়া ইউনিয়নের কাজি নুরুল ইসলামকে ৬ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে ঘারমোড়া ইউনিয়নের কাজী অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষেমালিকা চাকমা এ জরিমানার আদেশ দেন।
স্থানীয়রা জানায় হোমনায় বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন করে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন কাজী নুরুল ইসলাম।
কাজী মো. নুরুল ইসলাম উপজেলার ঘারমোড়া ইউনিয়নের ফতেরকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে ঘারমোড়া গ্রামে বসবাস করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, হোমনা উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে মো. রাসেল মিয়া একই ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের নজু মিয়ার মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৩) সঙ্গে বিয়ের আয়োজনের খবর পায় প্রশাসন। এমন খবরের ভিত্তিতে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে জানতে পারে কাজী নিজেই কনের বয়স ৫ বছর বাড়িয়ে এফিডেভিট কাগজ সৃজন করে বিয়ের আয়োজন করে।
এ সময় কনের কাগজপত্রে দেখা যায় কনের জন্মতারিখ ১০/২/২০১১ হলেও এফিডেভিটে তার জন্ম তারিখ ১০/২/২০০৬ দেখানো হয়েছে । এতে কনের বয়স ১৩ বছর ২ মাস ২২ দিন আর বরের বয়স ২৪ বছর। তাৎক্ষণিক বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বাল্য বিয়ে পড়ানোর দায়ে কাজি নুরুল ইসলামকে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষেমালিকা চাকমা মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে কাজি নুরুল ইসলাম বাল্যবিবাহের সহযোগীতার জন্য জাল এফিডেভিট কাগজ পত্র তৈরীর দায় শিকার করেন। পরে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তানজুমপারভীন নুনা ও হোমনা থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন। হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, জরিমানার টাকা আদায় করা হয়েছে। কাজীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page