নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মিসভায় হামলা, ভাঙচুর ও গুলির ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি মামলা কুমিল্লার ৯ নম্বর আমলি আদালত এবং অপরটি দ্রুত বিচার আদালতে করা হয়েছে। দুটি মামলায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও লালমাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ওরফে শাহীনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
একটি মামলার বাদী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম এবং অপর মামলার বাদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মনির হোসেন। দুটি মামলাই তদন্তের জন্য আদালত জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২৬ আগস্ট ওই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলামের বাড়িতে বিএনপির কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সভা শুরুর আগে কামরুল হাসানের নেতৃত্বে হামলা, লুটপাট ও গুলি চালান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
মফিজুল ইসলামের মামলার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হাসান বলেন, মামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসানসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুপুরে কুমিল্লার ৯ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন রীমা কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে অভিযোগ তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
একই ঘটনায় আহত যুবদল কর্মী ও লালমাই উত্তরডা গ্রামের মনির হোসেন দ্রুত বিচার আদালতে অপর মামলাটি করেন। এ মামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল খায়ের মজুমদার, শাহ আলম ও আয়াত উল্লাহসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মনির হোসেনের মামলার আইনজীবী মুহম্মদ আখতার হোসেন বলেন, দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক বেগম নিশাত জাহান চৌধুরী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
উভয় মামলায় করা অভিযোগ অস্বীকার করে লালমাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা। সেই দিন আওয়ামী লীগের মিছিলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় লালমাই থানায় ২৬ বিএনপির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page