কুমিল্লায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্ত্রী খালেদা আক্তারকে ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রাজু (২৫) হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শাটিষক গ্রামের নুরুন্নবী প্রকাশ নুর আলম এর ছেলে। তার শ্বশুর বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার পূর্ব দৈয়ারা গ্রামে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালে খালেদা আকতারের সঙ্গে রাজুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে কন্যা সন্তান আসে। বিয়ের পর হতেই স্বামী মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রাজু বেকার থাকায় ভুক্তভোগী খালেদা আক্তার তার শিশু সন্তান মীমকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতো। পরে, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর মোঃ মোজাম্মেল তাঁর শ্বশুর বাড়ী বেড়াতে আসে। পরদিন সকালে ভুক্তভোগী খালেদা তার স্বামীকে বলে ভিজা জামা ধৌত করে দেওয়ার জন্য। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি’র একপর্যায়ে মোজাম্মেল হোসেন রাজু বলেন অনেক সহ্য করেছি আর নয়, এ কথা বলেই ভিকটিম খালেদা আক্তার এর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে, লাশ পুকুর ঘাটের কাছে ফেলে রেখে সে শ্বশুর বাড়ী হতে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরে নিহতের পিতা মোঃ মোবারক হোসেন বাদী হয়ে মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে আসামি করে কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরবর্তীতে আদালতে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামী মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।

রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রাজু আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্র পক্ষের বিজ্ঞ কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ আমিনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page