স্টাফ রিপোর্টার।
কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর মৌলভীপাড়া এলাকা থেকে এক প্রবাসীর সাবেক স্ত্রী বাড়ি এসে কৌশলে বাড়ি বিক্রির সাড়ে চৌদ্দ লাখ টাকা ও পৌনে তিন লাখ টাকা মূল্যর স্বর্ণাংলকার চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী প্রবাসীর নাম মোঃ জাহের। তার বাড়ি নগরীর মৌলভীপাড়ায়। গেলো ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চুরির এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন। পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা তদন্তের পরেই বিস্তারিত বলবো।
ভুক্তভোগী প্রবাসী জাহের বলেন, তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার আশাবাড়ি এলাকায়। কয়েক বছর আগে তিনি কুমিল্লা নগরীর মৌলভীপাড়ায় জায়গা কিনে বাড়ি তৈরী করেন। তার প্রথম স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে দুই মেয়ে। পরে পরিনয়সূত্রে আবদ্ধ হয়ে প্রবাসী জাহের কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ইলাশপুর (মনিপুর) গ্রামের নাছিমা আক্তার সাথীকে বিয়ে করেন। পরে তাকে নিয়ে চলে যান মালেয়শিয়া। সেখানে দীর্ঘ চার বছর সংসার করেন। দ্বিতীয় সংসারে বায়েজিদ হোসেন রায়হান নামে ৭ বছর বয়সী সন্তান রয়েছে।
মালেয়শিয়া গিয়ে নাছিমা আক্তার দেশের এক যুবকের সাথে মোবইল ফোনে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়। প্রবাসী জাহের তাকে অনেক বুঝিয়েও সংসারে মনোযোগী করতে পারেন নাই। দেশে ফিরে এসে জাহের দ্বিতীয় স্ত্রী নাছিমাকে তালাক দেন। শালিস বৈঠকের মাধ্যমে কাবিনের ১০ লাখ টাকাও পরিশোধ করেন। এছাড়াও সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাহের তার সন্তান বায়েজিদকে তার কাছে নিয়ে আসেন।
প্রবাসী জাহের জানান, গেলো ৯ ফেব্রুয়ারি আমার সন্তান বায়েজিদকে খৎনা করাই। এদিকে ছেলেকে দেখতে আমার সাবেক স্ত্রী নাছিমা ফোনে বারবার অনুরোধ জানায়। আমি তাকে বাড়ি এসে বায়েজিদকে দেখে যেতে বলি। ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে নাছিমা আমার বিষ্ণুপুরের বাসায় আসে। আমি দুপুরে জরুরী কাজে বের হলে সে আমার সন্তানসহ ঘরে রাখা আমার বাড়ি বিক্রির নগদ ১৪ লাখ ৫০ হাজার ও পৌন ৩ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও আমার স্বাক্ষর করা চেকবইগুলোও নিয়ে যায়।
আমি ঘটনার দিন কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করি। আমি আমার সন্তান টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনার সাথে জড়িত আমার সাবেক স্ত্রী তার মা ও ভাইদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
তবে অভিযোগের বিষয়ে নাছিমা বলেন, আমি তার টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার চুরি করি নাই। আমি সন্তান নিয়ে চলে এসেছি। পারলে জাহেরকে বলেন প্রমান করতে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page