০৫:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুরাদনগরে নিখোঁজের ৭ দিন পর হাত বাঁধা শিশুর মরদেহ উদ্ধার বুড়িচং প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় কুমিল্লায় একদিনে মাদ্রাসাছাত্রসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার বুড়িচংয়ে বিএনপির সভাপতির নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার; তীব্র নিন্দা কুবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলায় জড়িতদের তথ্য চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হোমনায় চার দিন ধরে নিখোঁজ সাংবাদিক দিদার, পরিবারের সন্দেহ অপহরণ বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন কুমিল্লায় ৩ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বিক্রি; তিনদিন ধরে ধর্ষণ, নোয়াখালীর ৫ যুবক গ্রেফতার বাজগড্ডায় জিকরুল্লাহ ইসলামিয়া যুব কমিটির উদ্যোগে ঈদে মাজিউন্নাবী (সা.) মাহফিল শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিনকে কুমিল্লায় ফুলেল সংবর্ধনা

কুমিল্লায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৬৩ জন

  • তারিখ : ০৬:২০:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অগাস্ট ২০২১
  • 26

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ০ শতাংশ।

এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন।জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন ৬ আগস্ট বিকেল ৬ টা১৫ মিনিট দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,৫লা আগস্ট রবিবার বিকেল থেকে ৬ আগস্ট বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

শনাক্তদের মধ্যে ১৬৩ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের ১, সদর দক্ষিণের ৭, বুড়িচংয়ের ৫৮, ব্রাহ্মণপাড়ার ২৪, চান্দিনার ১০, চৌদ্দগ্রামের ১৯, দেবিদ্বারের ১৫, দাউদকান্দির ৩২, লাকসামের ৬, লালমাইয়ের ২২, নাঙ্গলকোটের ৫৫, বরুড়ার ১৯, মনোহরগঞ্জের ১৮, মুরাদনগরের ৮২, মেঘনার ১৮, তিতাসের উপজেলার ১৪ জন।

যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে বরুড়ার,চান্দিনার তিনজন করে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন, ব্রাহ্মণপাড়ার, মুরাদনগর, দাউদকান্দির, চৌদ্দগ্রামের, মনোহরগঞ্জের, নাঙ্গলকোটের, লালমাইয়ের একজন করে রয়েছেন।

মৃতদের মধ্যে দশজন নারী এবংচারজন পুরুষ।

জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৩হাজার ৩৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮৬জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৮১ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৭ হাজার ৮৪১জন।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন জানান,চলতি সপ্তাহে প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েছে। করোনার বরাদ্দকৃত আসনের চেয়ে অন্তত ৩০-৪০ জন বেশি ভর্তি রয়েছেন। যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন,জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,আমরা চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে কীভাবে সংক্রমণ কমানো যায়। সে লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ চলছে। পাশাপাশি শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৬৩ জন

তারিখ : ০৬:২০:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অগাস্ট ২০২১

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ০ শতাংশ।

এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন।জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন ৬ আগস্ট বিকেল ৬ টা১৫ মিনিট দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,৫লা আগস্ট রবিবার বিকেল থেকে ৬ আগস্ট বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

শনাক্তদের মধ্যে ১৬৩ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের ১, সদর দক্ষিণের ৭, বুড়িচংয়ের ৫৮, ব্রাহ্মণপাড়ার ২৪, চান্দিনার ১০, চৌদ্দগ্রামের ১৯, দেবিদ্বারের ১৫, দাউদকান্দির ৩২, লাকসামের ৬, লালমাইয়ের ২২, নাঙ্গলকোটের ৫৫, বরুড়ার ১৯, মনোহরগঞ্জের ১৮, মুরাদনগরের ৮২, মেঘনার ১৮, তিতাসের উপজেলার ১৪ জন।

যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে বরুড়ার,চান্দিনার তিনজন করে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন, ব্রাহ্মণপাড়ার, মুরাদনগর, দাউদকান্দির, চৌদ্দগ্রামের, মনোহরগঞ্জের, নাঙ্গলকোটের, লালমাইয়ের একজন করে রয়েছেন।

মৃতদের মধ্যে দশজন নারী এবংচারজন পুরুষ।

জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৩হাজার ৩৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮৬জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৮১ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৭ হাজার ৮৪১জন।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন জানান,চলতি সপ্তাহে প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েছে। করোনার বরাদ্দকৃত আসনের চেয়ে অন্তত ৩০-৪০ জন বেশি ভর্তি রয়েছেন। যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন,জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,আমরা চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে কীভাবে সংক্রমণ কমানো যায়। সে লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ চলছে। পাশাপাশি শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস।