০১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সংযুক্ত আরব আমিরাতস্থ চৌদ্দগ্রাম বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কামরুল হুদার মতবিনিময় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ৫৪ বছরের কলঙ্কমুক্ত হবে দেশ: ডা. তাহের ব্রাহ্মণপাড়ায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধণা ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় বডিফিটিং গাঁজা পাচারকালে গাঁজাসহ বাবা-ছেলে আটক মুরাদনগরে বিস্ফোরক মামলায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার কুমিল্লার চান্দিনায় প্রাইভেটকার চাপায় মা-শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু আবৃত্তি সংসদ কুমিল্লার কার্যকরী কমিটি পুনর্গঠন; সভাপতি- সুমনা, সাধারণ সম্পাদক- আকাইদ বানাশুয়া বিরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উদযাপনের চলছে প্রস্তুতি বনানীর সিসা বারে যুবক খুন, কুমিল্লা থেকে প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার কুমিল্লায় শ্রেণিকক্ষে ছুরি প্রদর্শনের ভিডিও ভাইরাল, ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

কুমিল্লায় ৫ তলার অনুমতি নিয়ে ১১ তলা নির্মাণ; ভাঙা শুরু করেছে সিটি করপোরেশন

  • তারিখ : ০৯:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • 2

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা নগরীতে বারবার নোটিশ দেয়ার পরেও একটি ভবন ১১ তলা নির্মাণ করায় ভবনটি ভাঙা শুরু করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দেশওয়ালিপট্টিতে ৫ তলার ভবনটি অনুমোদন না নিয়ে ১১ তলা নির্মাণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাঘেঁষা এই ভবনটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই নির্মাণকাজ চলছিল।

তালুকদার হাউস নামে ওই ভবনটির মালিক সাদেকুল ইসলাম। কুমিল্লা পৌরসভা থাকার সময়ে তিনি জায়গাটিতে ৫ তলা ভবনের অনুমোদন নেন।

পরে ৫ তলার ওপর গড়ে তোলেন আরও ৬ তলা। গলির ভেতরে ও ভবনের সামনে অন্য ভবন থাকায় দীর্ঘদিন প্রশাসনের চোখে পড়েনি এই ভবনটি।

সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, নকশাবহির্ভূত ও ভবন নির্মাণ আইন অমান্য করে নির্মাণকাজ চলছিল। এ অবস্থায় ভবনমালিককে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেয় সিটি কর্তৃপক্ষ।

পরে কয়েকবার ভবনের সামনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়। এমনকি বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করেও দমানো যায়নি ভবনের মালিককে। সর্বশেষ সোমবার সিটি কর্তৃপক্ষ ভবনের মালিককে আবারও চিঠি দেয়। মঙ্গলবার তাকে ওই ভবনে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

কিন্তু সকালে কুমিল্লা সিটি মেয়রসহ কর্তৃপক্ষ ওই ভবনে গিয়েও পায়নি মালিককে। পরে সিটি করপোরেশনে কর্মরত শ্রমিকরা হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ওই ভবনটি ভাঙা শুরু করেন।

ভবনের ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, মালিক বাড়িতে নেই। তিনি আগেই ভাড়াটিয়াদের নোটিশ দিয়েছেন। পুরো ভবন খালি থাকলে ৭ তলায় একটি পরিবার রয়েছে। তারাও দুই-এক দিনের মধ্যে ছেড়ে দেবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, ভবনের মালিককে বারবার নোটিশ দেয়ার পরও তিনি তা মানেননি। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবনের বর্ধিত অংশ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, সিটি কর্তৃপক্ষ নগরীতে যেসব ভবন নকশাবহির্ভূত ও নকশার অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠেছে, সেগুলোর তালিকা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জনবলসংকটের কারণে প্রক্রিয়াটিতে ধীরগতি থাকলেও এই ব্যবস্থা চলবে।

কুমিল্লায় ৫ তলার অনুমতি নিয়ে ১১ তলা নির্মাণ; ভাঙা শুরু করেছে সিটি করপোরেশন

তারিখ : ০৯:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা নগরীতে বারবার নোটিশ দেয়ার পরেও একটি ভবন ১১ তলা নির্মাণ করায় ভবনটি ভাঙা শুরু করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দেশওয়ালিপট্টিতে ৫ তলার ভবনটি অনুমোদন না নিয়ে ১১ তলা নির্মাণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাঘেঁষা এই ভবনটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই নির্মাণকাজ চলছিল।

তালুকদার হাউস নামে ওই ভবনটির মালিক সাদেকুল ইসলাম। কুমিল্লা পৌরসভা থাকার সময়ে তিনি জায়গাটিতে ৫ তলা ভবনের অনুমোদন নেন।

পরে ৫ তলার ওপর গড়ে তোলেন আরও ৬ তলা। গলির ভেতরে ও ভবনের সামনে অন্য ভবন থাকায় দীর্ঘদিন প্রশাসনের চোখে পড়েনি এই ভবনটি।

সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, নকশাবহির্ভূত ও ভবন নির্মাণ আইন অমান্য করে নির্মাণকাজ চলছিল। এ অবস্থায় ভবনমালিককে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেয় সিটি কর্তৃপক্ষ।

পরে কয়েকবার ভবনের সামনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়। এমনকি বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করেও দমানো যায়নি ভবনের মালিককে। সর্বশেষ সোমবার সিটি কর্তৃপক্ষ ভবনের মালিককে আবারও চিঠি দেয়। মঙ্গলবার তাকে ওই ভবনে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

কিন্তু সকালে কুমিল্লা সিটি মেয়রসহ কর্তৃপক্ষ ওই ভবনে গিয়েও পায়নি মালিককে। পরে সিটি করপোরেশনে কর্মরত শ্রমিকরা হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ওই ভবনটি ভাঙা শুরু করেন।

ভবনের ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, মালিক বাড়িতে নেই। তিনি আগেই ভাড়াটিয়াদের নোটিশ দিয়েছেন। পুরো ভবন খালি থাকলে ৭ তলায় একটি পরিবার রয়েছে। তারাও দুই-এক দিনের মধ্যে ছেড়ে দেবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, ভবনের মালিককে বারবার নোটিশ দেয়ার পরও তিনি তা মানেননি। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবনের বর্ধিত অংশ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, সিটি কর্তৃপক্ষ নগরীতে যেসব ভবন নকশাবহির্ভূত ও নকশার অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠেছে, সেগুলোর তালিকা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জনবলসংকটের কারণে প্রক্রিয়াটিতে ধীরগতি থাকলেও এই ব্যবস্থা চলবে।