মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ইসরাফিল(২৮) নামে যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় মা রিনা বেগম বাদি হয়ে রোববার রাতে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো; উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল-দুর্গাপুর গ্রামের মোক্তল হোসেন, তার ছেলে ঘাতক সজিব, স্ত্রী রহিমা বেগম, মেয়ে নাসরিন আক্তার, আইরিন আক্তার ও তানজিনা আক্তার। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মূল ঘাতক সজিব ছাড়া ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে ইসরাফিলের লাশ দাফন করা হয়েছে। এ সময় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। তারা অবিলম্বে মূল ঘাতক সজিবকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান এবং গ্রেপ্তারকৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ সময় আ’লীগ নেতা কাজী হাফেজ বেলাল বলেন, আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নিহত ইসরাফিল ছিল অত্যন্ত শান্তসৃষ্ট। ঘাতক সজিব ও তার পরিবার জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিকবার ইসরাফিলের পরিবারের উপর হামলা চালায়। দ্রুত মূল ঘাতক সজিবকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে ঘাতক সজিব ও তার পরিবারের সদস্যরা ইসরাফিলকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে কুপিয়ে আহত করে। এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি এবং ঘাতক সজিবকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোরদাবি জানাচ্ছি।
আ’লীগ নেতা আবদুর রহিম মজুমদার বলেন, ‘সামান্য একটু জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে মোক্তল হোসেনের পরিবারের সাথে ইসরাফিলের পরিবারদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে একাধিক শালিশী সভা হয়। ঘাতক সজিবের পরিবার বারবার শালিশের রায় অমান্য করে আসছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার তারা প্রকাশ্য দিবালোকে ইসরাফিলকে কুপিয়ে হত্যা করে’।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page