মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের সোনাইছা গ্রামে কতিপয় লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়ছে।
শনিবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের উত্তর সোনাইছা গ্রামেবাসী এ মানববন্ধন করেন। এ সময় উত্তেজিত স্থানীয়রা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অভিযুক্ত নেয়ামত উল্লাহ ও তার বড় ভাই আব্দুল মজিদের শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে স্থানীয় আব্দুল মতিন, ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, জালাল আহমেদ, ইকবাল হোসেন ও হোসনেয়ারা বেগম জানান, ‘নেয়ামত উল্লাহ এলাকার একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী ও নারীলোভি মানুষ। তার বিভিন্ন অপকর্মের কথা এলাকাবাসী জেনে যাওয়ায় এবং সামাজিকভাবে বিচারে সে দোষি সাব্যস্ত হওয়ায় এখন সে গ্রামের খুরশিদ আলম, মহসিন, বাবুল, মনির, শাহাবুদ্দিন, ইসমাইল, সাদ্দাম সহ গ্রামের সর্দার-মাতব্বর ও বিশিষ্টজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি ও মানহানীর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। কিছুদিন আগেও এলাকার যুবসমাজ তাকে লাকী নামে এক নারী সহ গভীর রাতে অপকর্মে লিপ্ত থাকাবস্থায় হাতেনাতে ধরেছে। মূলত: এ ঘটনার জেরেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানী করছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেয়ামত উল্লাহ ও তার বড় ভাই আব্দুল মজিদ সহ তাদের দোষরদের শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগি খুরশিদ আলম বলেন, ‘নেয়ামত উল্লাহ একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ও নারী কেলেঙ্কারীর বিষয় নিয়ে গ্রামে তার বিরুদ্ধে কয়েকবার বিচার-শালিস বসে। সে সামাজিক বিচারকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ইস্যুতে গ্রামবাসীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ এলাকাবাসীকে হয়রানী করছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেয়ামত উল্লাহ ও তার ভাই আব্দুল মজিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত নেয়ামত উল্লাহর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে (০১৮৭০-৩১৯৭৯৪) বারবার কল দিলে তিনি কল না ধরায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন জানান, ‘নেয়ামত উল্লাহকে গ্রামবাসী অপ্রীতিকর অবস্থায় এক নারী সহ আটক করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে। এ বিষয়ে নেয়ামত আমাকে জানালে আমি তাকে চিকিৎসা নিতে বলি এবং বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। পরে গ্রাম্য শালিসে বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা থাকলেও নেয়ামত গ্রামের গণ্যমান্য লোকজনকে উপেক্ষা করে আদালতে মামলা দিয়ে স্থানীয়দের হয়রানী করছে। ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবির যে কথা উল্লেখ করেছে নেয়ামত তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত: নারী ঘঠিত ঘটনা ধামাচাপা দিতে সে এমন প্রতারণা ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। ’
এ বিষয়ে আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘ইউপি সদস্য কামালের মাধ্যমে সোনাইছা গ্রামের ঘটনাটি জেনেছি। বাদী-বিবাদী কেউ আমাকে তা জানায়নি। গ্রাম্যভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা হলে আমি সার্বিক সহযোগিতা করবো।’
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page