তরমুজের দাম চড়া থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে

মনির হোসাইন।।
গ্রীষ্মকালীন তরমুজ বলে কথা এই ছাড়া পবিত্র মাহে রমজান মাস ঘিড়ে ফল ব্যবসায়ীদের দোকানে তরমুজের দাম চড়া থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এই গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ। কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে ফল ব্যবসায়ীরা তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। হাঁকডাক বাড়ছে তরমুজ বেচা-কেনায়। ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ প্রচুর পরিমাণে দেখা গেলেও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

দাম চড়া থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এই ফল। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ ক্রেতারা। প্রশাসন যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে তাহলে তরমুজসহ বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

৪ ই (মার্চ) শনিবার মুরাদনগর উপজেলা রামচন্দ্র পুড় বাজার, কোম্পানীগঞ্জ বাজার ও মুরাদনগর উপজেলা সদর বাজার গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা সারি সারি করে তরমুজ সাজিয়ে রেখেছে। ২০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত দামের তরমুজ রয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছে। ক্রেতারা কেউ কেউ দাঁড়িয়ে দেখছেন। কেউ আবার তরমুজ দাম হাকাচ্ছেন।

তরমুজ কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানাযায়,বাজারে প্রচুর পরিমাণ তরমুজ থাকা সত্ত্বে দাম অনেক চড়া। তবে যে তরমুজ ৮০-১০০ টাকায় কেনা যেত সে তরমুজ কিনতে হচ্ছে ২০০-৩০০টাকায়। আর একটু বড় হলেই তরমুজের দাম ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। রোজায় তরমুজ খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে দাম চড়া হওয়ার কারণে আমরা মধ্যবিত্ত ও নিন্মআয়ের লোকজন অনেকটাই সাধ্যের বাইরে।

ক্রেতা জুলহাস মিয়া জানান মেয়ের আবদারে বাজারে তরমুজ কিনতে এসেছি। তবে তরমুজের দাম দেখে অনেকটাই হতাশ। তারপরও মেয়ের আবদারে ২৫০ টাকা দিয়ে ছোট একটি তরমুজ কিনেছি। ছোট তরমুজ কেনার ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,বড় তরমুজের দাম অনেক বেশি। ইচ্ছে থাকলেও কেনা সম্ভব নয়। তাই মেয়ের আবদার মেটাতে ছোট একটি তরমুজ কিনে নিলাম।

সিএনজি চালক মন্টু মিয়া অনেকটাই আক্ষেপ করে বলেন, চোখের সামনে নতুন ফল দেখে ছেলে-মেয়েদের জন্য কিনতে ইচ্ছা হলেও দাম বেশি, তাই কিনতে পারছি না। যখন দাম কমবে, তখন কিনব। ছোট একটি তরমুজ কিনতে চাইলেও ৩০০ টাকা লাগবে। সারাদিনে আয় যা হয়, তা দিয়ে চাল-ডাল কিনব, নাকি তরমুজ কিনে খাব।

তরমুজের দাম এতো বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তরমুজ বিক্রেতা ইউসুফ বলেন, মূলত আগামী এপ্রিল-মে মাসে তরমুজের ভরপুর মৌসুম। বাজারে এখন যেসব তরমুজ উঠেছে সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ। সে কারণে আড়তে তরমুজের দাম একটু বেশি। তারপর আবার রমজান মাস চলছে। তাই তরমুজের চাহিদাও বেড়ে গেছে। রোজার পর হয়তো তরমুজের এ দাম কমবে বলে মনেকরি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমান বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের শুরু থেকেই বাজারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং নজরদারী করা হচ্ছে। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  

You cannot copy content of this page