১২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাটি বিক্রেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভেকু জব্দ কুমিল্লা স্টেডিয়াম এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার আ’লীগের হামলায় আহত মহিলাদল নেত্রীকে দেখতে কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ খেলাধুলা যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে -সফিকুর রহমান বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ইটভাটা উচ্ছেদ জয়পুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৬১ তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী শামীম গ্রেপ্তার জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন- ড. ইমরান আনসারী কোনো ষড়যন্ত্রই কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধন ভাঙতে পারবে না-হাজী ইয়াছিন

বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ

  • তারিখ : ১০:১১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • 298

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সৌদি আরব থেকে প্রেরিত ‘দুম্বার’ মাংস বিতরণ কার্যক্রম গত মঙ্গলবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং প্রকল্প কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধন ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জোবায়ের হাসান সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেছেন।

উক্ত সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধিরা। অতিথিদের সমক্ষেতমভাবে ৪৪টি প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মাংস হস্তান্তর করা হয়। আরও বলা হয়, সৌদি আরব সরকারের পক্ষ থেকে এসব মাংস প্রতি বছর দরিদ্র, এতিম ও মাদ্রাসা-সংস্থাগুলোতে বরাদ্দ করা হয়, যাতে সামাজিক সংহতি ও সহায়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে এটি কাজ করে।

প্রধান অতিথি মোঃ তানভীর হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজকের এই বিতরণ কার্যক্রম শুধুই একটি খাদ্যসাহায্য নয়, এটি আমাদের সমাজের ন্যায্য অংশীদারিত্বকে সুদৃঢ় করার এক প্রয়াস। সহায়তা দান ও গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে পারি। বিশেষভাবে এতিমখানা ও মাদ্রাসার এমন সব প্রতিষ্ঠান যারা শিক্ষাজীবন ও অবস্থার কারণে অবহেলায় পড়তে পারেন — তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। আশা করি, ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিসরে এই ধরনের কার্যক্রম চালু থাকবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, বিতরণের সময় তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সঠিক ও সময়োপযোগীভাবে মাংস পৌঁছেছে এবং প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাও তৎপর ছিলেন।

এসময় মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধিরাও তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ আরও কার্যকরভাবে চালু করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।

উল্লেখ্য, বুড়িচং উপজেলার শিক্ষা ও ধর্ম-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক নিরাপত্তা জালের অংশ হিসেবে বিবেচিত। মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশু-তরুণদের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাই একদিকে উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ, অন্যদিকে এমন সহায়তা তাদের জীবনযাত্রাকে একটু করে হলেও সহজ করে তোলে।

error: Content is protected !!

বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ

তারিখ : ১০:১১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সৌদি আরব থেকে প্রেরিত ‘দুম্বার’ মাংস বিতরণ কার্যক্রম গত মঙ্গলবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং প্রকল্প কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধন ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জোবায়ের হাসান সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেছেন।

উক্ত সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধিরা। অতিথিদের সমক্ষেতমভাবে ৪৪টি প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মাংস হস্তান্তর করা হয়। আরও বলা হয়, সৌদি আরব সরকারের পক্ষ থেকে এসব মাংস প্রতি বছর দরিদ্র, এতিম ও মাদ্রাসা-সংস্থাগুলোতে বরাদ্দ করা হয়, যাতে সামাজিক সংহতি ও সহায়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে এটি কাজ করে।

প্রধান অতিথি মোঃ তানভীর হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজকের এই বিতরণ কার্যক্রম শুধুই একটি খাদ্যসাহায্য নয়, এটি আমাদের সমাজের ন্যায্য অংশীদারিত্বকে সুদৃঢ় করার এক প্রয়াস। সহায়তা দান ও গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে পারি। বিশেষভাবে এতিমখানা ও মাদ্রাসার এমন সব প্রতিষ্ঠান যারা শিক্ষাজীবন ও অবস্থার কারণে অবহেলায় পড়তে পারেন — তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। আশা করি, ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিসরে এই ধরনের কার্যক্রম চালু থাকবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, বিতরণের সময় তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সঠিক ও সময়োপযোগীভাবে মাংস পৌঁছেছে এবং প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাও তৎপর ছিলেন।

এসময় মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধিরাও তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ আরও কার্যকরভাবে চালু করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।

উল্লেখ্য, বুড়িচং উপজেলার শিক্ষা ও ধর্ম-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক নিরাপত্তা জালের অংশ হিসেবে বিবেচিত। মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশু-তরুণদের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাই একদিকে উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ, অন্যদিকে এমন সহায়তা তাদের জীবনযাত্রাকে একটু করে হলেও সহজ করে তোলে।