১০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব নিহত বুড়িচংয়ে হুইলচেয়ার, সেলাই মেশিন ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করলেন ড. মোবারক হোসেন ধানের শীষের প্রার্থী ড. মোশাররফ হোসেনের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ শুরু দাউদকান্দিতে নিসচা’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার : ৯ আসামি গ্রেফতার কুমিল্লা ইপিজেডে বকেয়া বেতনের দাবিতে নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ কুমিল্লায় টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি; দুই ঘণ্টা সেবা বন্ধ নবগঠিত বুড়িচং পৌরসভার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন : পিআরএ কর্মশালা অনুষ্ঠিত জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিকদের স্বাধীন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হবে: ড. মোবারক হোসেন

শুভপুরের সন্ত্রাসী হামলার মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি-হুমকির অভিযোগ

  • তারিখ : ১১:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • 41

স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লা নগরীর শুভপুরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করে হুমকির মুখে পড়েছেন মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজন। ওই হামলার ইন্ধনদাতা ও হামলাকারিদের পিতা মুসা মিয়া আটকের পর জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদী ও তার স্বামীকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি-হুমকি দিচ্ছে। এমনকি মুসা মিয়ার তিন পুত্র আত্মগোপনে থেকে বিভিন্নভাবে মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজনকে মামলা করার প্রতিফল ভয়ানক হবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

মামলার বাদী নাজমা বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন-আত্মীয়তার সূত্রে মুসা মিয়ার পুত্র পাভেল ও রবিনের কাছে ব্যবসায়িক কাজের নগদ ৩ লাখ টাকা জমা রাখেন তার পুত্র খাইরুল। বেশ কিছুদিন আগে একটি জায়গা ক্রয়ের ব্যাপারে ওই তিন লাখ টাকা থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেয় খাইরুল। পরবর্তীতে বাকী টাকা চাইলে গেলে গত ২৮ অক্টোবর শুভপুর এলাকায় মুসার ইন্ধনে তার তিন পুত্র পাভেল, রবিন ও জুমুন সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে খাইরুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় খাইরুলের স্ত্রী, নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী-কন্যাও আহত হয়।হামলাকারিরা হামলার শিকার নারীদের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করা হয়।

ওই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় খাইরুলকে। পরে অস্থার অবনিত ঘটায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে ঘটনার দিন ৯৯৯ -এ ফোন পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে হামলার বিষয়টি অবগত হন এবং আহত খাইরুলকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ ইন্ধনদাতা ও হামলাকারি পাভেল, রবিন, জুমুনের পিতা মুসা মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) মুসা মিয়া জামিনে বেরিয়ে আসেন।

এরপর থেকে তিনি মামলা তুলে নিতে ভংভীতি দেখাচ্ছেন। তার তিন সন্তান এ মামলার আসামি পাভেল, রবিন, জুমুনও মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজনের গতিবিধির ওপর রাখছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে মামলার বাদী নাজমা বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন। তারা আত্মগোপনে থাকা আাসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।

error: Content is protected !!

শুভপুরের সন্ত্রাসী হামলার মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি-হুমকির অভিযোগ

তারিখ : ১১:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লা নগরীর শুভপুরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করে হুমকির মুখে পড়েছেন মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজন। ওই হামলার ইন্ধনদাতা ও হামলাকারিদের পিতা মুসা মিয়া আটকের পর জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদী ও তার স্বামীকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি-হুমকি দিচ্ছে। এমনকি মুসা মিয়ার তিন পুত্র আত্মগোপনে থেকে বিভিন্নভাবে মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজনকে মামলা করার প্রতিফল ভয়ানক হবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

মামলার বাদী নাজমা বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন-আত্মীয়তার সূত্রে মুসা মিয়ার পুত্র পাভেল ও রবিনের কাছে ব্যবসায়িক কাজের নগদ ৩ লাখ টাকা জমা রাখেন তার পুত্র খাইরুল। বেশ কিছুদিন আগে একটি জায়গা ক্রয়ের ব্যাপারে ওই তিন লাখ টাকা থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেয় খাইরুল। পরবর্তীতে বাকী টাকা চাইলে গেলে গত ২৮ অক্টোবর শুভপুর এলাকায় মুসার ইন্ধনে তার তিন পুত্র পাভেল, রবিন ও জুমুন সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে খাইরুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় খাইরুলের স্ত্রী, নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী-কন্যাও আহত হয়।হামলাকারিরা হামলার শিকার নারীদের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করা হয়।

ওই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় খাইরুলকে। পরে অস্থার অবনিত ঘটায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে ঘটনার দিন ৯৯৯ -এ ফোন পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে হামলার বিষয়টি অবগত হন এবং আহত খাইরুলকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ ইন্ধনদাতা ও হামলাকারি পাভেল, রবিন, জুমুনের পিতা মুসা মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) মুসা মিয়া জামিনে বেরিয়ে আসেন।

এরপর থেকে তিনি মামলা তুলে নিতে ভংভীতি দেখাচ্ছেন। তার তিন সন্তান এ মামলার আসামি পাভেল, রবিন, জুমুনও মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজনের গতিবিধির ওপর রাখছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে মামলার বাদী নাজমা বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন। তারা আত্মগোপনে থাকা আাসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।