কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, ‘আমি কুমিল্লার মানুষকে ভালোবাসি। কুমিল্লার মানুষের কথা বলতে আমি প্রিয় নেত্রীকেও (শেখ হাসিনা) ভয় করি না। আমি বলবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ দিন।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত দোকান মালিক সমিতির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. সানাউল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত। সমন্বয়ক ছিলেন দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন।
তিনি বলেন, ‘সাক্কু সহজ-সরল মানুষের মতো কথা বলে। অথচ সে মানুষের টাকা মেরে ৭৮টা ফ্ল্যাট করেছে। আমি সবই জানছি পরে। রূপায়ণ টাওয়ার করতে ৭৫ লাখ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। প্ল্যানেট এসআর-এর প্ল্যান পাস করতে ৭৫ লাখ টাকা নিয়েছে। এই সাক্কু তার নিজের পকেটে ঢুকিয়েছে টাকা। কুমিল্লা সিটিকে ওভারলোড করে দিয়েছে সাক্কু। আজ যানজটের জন্য শহরে হাঁটা যায় না। ভবনের পর ভবনের প্ল্যান পাস হয়েছে নিয়ম না মেনেই। আমি রিফাতকে তিল তিল করে কুমিল্লার মানুষের জন্য গড়ে তুলেছি। রিফাতের ছয় মাস হয়েছে মেয়র হওয়ার। আপনারা ছয় টাকা ঘুষের কোনও প্রমাণ পেয়েছেন? পেলে আমাকে বলুন। আমি তখন আর এখানে (মঞ্চে) থাকবো না, চলে যাবো ওখানে (জনগণের কাতারে)। তখন আর রিফাতকে চেয়ারে থাকতে দেবো না।’
এ সময় বাহার বলেন, ‘৭১ এর পর থেকে আজ অবধি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি যখন পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি তখনও আমাকে অনেকে হতাশ করেছে। কিন্তু জনগণ আমাকে শক্তি দিয়েছে। তাদের শক্তিতে আমি পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন করেছি। আর আমার পরে এলো কে? আকবর ভাই, সাক্কু ভাই। তারা কী করেছে? প্ল্যান পাস করিয়েছে, আর টাকা খেয়েছে।’
এমপি বাহার আরও বলেন, ‘কুমিল্লা এখন আগের কুমিল্লা নেই। আমাকে সবাই বলে সংস্কৃতিবান্ধব, অনেকে বলে শিক্ষকবান্ধব, আর এই অনুষ্ঠানে আসার পর বলছেন, আমি নাকি ব্যবসায়ীবান্ধব। আমি আসলে কোনও বান্ধবই নই। আমি কুমিল্লাবান্ধব, জণগণবান্ধব। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, জাতীয় অর্থনীতিতে আমাদের প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন। আমরা মাছ উৎপাদনে এখন দেশজুড়ে ভালো অবস্থানে। যারা ১৯৭১ এর যুদ্ধের পর আমাদের তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল, তারা এখন হিংসা করে। আপনারা মুরগি খান কত করে? দেড়শ টাকা। আর পাকিস্তানে মুরগির কেজি ৬০০ টাকা। আমরা কি ভালো নেই?
অনুষ্ঠানে দোকান মালিক সমিতির এক হাজার নেতৃবৃন্দ ও সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page