মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুবলীগ নেতার ওপর হামলার পর অস্ত্রসহ ভাইরাল হওয়া মনিরুজ্জামান জুয়েলের সেই আগ্নেয়াস্ত্রটি থানায় জমা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত প্রায় ১১টার দিকে চৌদ্দগ্রাম থানায় গিয়ে মনিরুজ্জামান জুয়েলের স্ত্রী ফারজানা হক ৮৬ রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্রটি জমা দেন।
মনিরুজ্জামান জুয়েল উপজেলার নালঘর গ্রামের মরহুম আলী আকবরের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। শাহজালাল মজুমদারের দাবি, মনিরুজ্জামান জুয়েলের নেতৃত্বে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী।
মনিরুজ্জামান জুয়েল এলাকায় নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর ইউনিয়নের নালঘর বাজারের ওই হামলায় হামলায় শাহজালাল মজুমদার ও তার গাড়িচালক আমজাদ হোসেন আহত হন। এসময় শাহজালাল মজুমদারের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার ঘটনার পর অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান জুয়েলের হাতে থাকা একটি আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যকে ভাইরাল হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ভাইরাল হওয়া অস্ত্রটির লাইসেন্স আছে। দেখতে অনেকটা সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের মতো হলেও এটি একটি টু পয়েন্ট টু বোরের রাইফেল। যার মডেল হচ্ছে জিএসজি-৫। এটি জার্মানির তৈরি। আমরা তার লাইসেন্স চেক করে অস্ত্রটির সঙ্গে মিলিয়েছি।
ওসি বলেন, যে ছবিটা ভাইরাল হয়েছে, সেটা চেয়ারম্যানের ওপর হামলার দিনের নয়। ছবিটা অনেক আগের। যেহেতু হামলার দিনে ছবিটা ভাইরাল হয়েছে, তাই আমরা তার পরিবারকে অস্ত্রটি জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেই। শুক্রবার রাতে জুয়েলের স্ত্রী ফারজানা হক এসে অস্ত্রটি থানায় জমা দিয়ে যান।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page