নিউজ ডেস্ক।।
বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস করতে না পারায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা পান সাকিব আল হাসান। আজ রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, সাকিব যেহেতু ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে সব প্রতিযোগিতায় বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফলে সাকিব বাংলাদেশের বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বোলিং করতে পারবেন না।
এই নিষেধাজ্ঞা ইংল্যান্ডের একটি আইসিসি অনুমোদিত পরীক্ষাকেন্দ্রে পরিচালিত মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে আরোপ করা হয়েছে। অ্যাকশন শুধরে সাকিবকে আবারও পরীক্ষায় উতরে তবেই বোলিংয়ে ফিরতে পারবেন। তবে এ সময় তিনি শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন। সাকিব এরই মধ্যে চেন্নাইয়ের পরীক্ষাগারে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিতে যোগাযোগ করেছেন। যদি ভারতের ভিসা পান, তাহলে চলতি লঙ্কা টি-টেন সুপার লিগ শেষে পরীক্ষা দিতে চেন্নাইয়ে যাবেন। তার আগে ভারতের ভিসা নিতে তিনি শ্রীলঙ্কা থেকে যাবেন আরব আমিরাতে। যদি ভারতের ভিসা না পান তাহলে আবারও পরীক্ষা দিতে যেতে হবে ইংল্যান্ডেই।
ইংল্যান্ডে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলতে গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন সাকিব। ম্যাচটিতে দারুণ বোলিংও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট দেন আম্পায়াররা। সূত্র জানায়, সাকিব শুরুতে চেয়েছিলেন চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিতে। ওই সময় চেন্নাইয়ের পরীক্ষাগারে সংস্কার কাজ চলায় পরীক্ষা দিতে বেশ অপেক্ষা করতে হবে বলে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। এই মাসের শুরুতে বার্মিংহামের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বোলিং পরীক্ষা দেন। যেখানে দেখা গেছে, বোলিং অ্যাকশনে কনুইয়ের প্রসারণ সর্বোচ্চ ১৫ ডিগ্রি বাঁকানোর যে সীমা আছে, সেটি অতিক্রম করেছেন তিনি। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ইংল্যান্ডে নিষিদ্ধ হয় সাকিবের বোলিং।
আইসিসির অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য প্রণীত নিয়মের ১১.৩ ধারা অনুযায়ী যদি কোনো জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশন তার ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় কোনো খেলোয়াড়কে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করে, তবে আইসিসি এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং অন্যান্য জাতীয় ক্রিকেট ফেডারেশনের ঘরোয়া প্রতিযোগিতাতেও কার্যকর করবে। নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিক নোটিশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয় এবং এর জন্য অতিরিক্ত কোনো আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয় না।
বিসিবি আরও জানিয়েছে, আইসিসির ১১.৪ ধারার অধীনে সাকিব আইসিসি অনুমোদিত পরীক্ষাকেন্দ্রে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি এই পরীক্ষার ফলে তাঁর বোলিং অ্যাকশন বৈধ বলে প্রমাণিত হয়, তবে তিনি আন্তর্জাতিক এবং সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বোলিংয়ে ফিরতে পারবেন।
তবে বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের যেকোনো ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবেন। সে হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তাঁর বাধা নেই।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page