০২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় প্রবাসী বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার হলে ছেলে

  • তারিখ : ০৮:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 21

দেবিদ্বার প্রতিনিধি।।
প্রবাস থেকে লাশ হয়ে ফেরা প্রবাসী বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার আসনে বসতে হলো মো. হাসান নামের এক শিক্ষার্থীকে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৭ টার দিকে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ইউছুফপুর গ্রামে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

মো. হাসান কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ইউছুফপুর আইডিয়াল হাইস্কুলের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী। সে ২০২৫ অর্থবছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। হাসান উপজেলার ইউছুফপুর গ্রামের মৃত প্রবাসী মো. হানিফ মিয়া ছেলে।

সরেজমিনে ইউছুফপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে হানিফ মিয়া ২০০৮ সালে প্রবাসে পাড়ি জমান। সেখানে সৌদি আরবের হাবুনা অঞ্চলে একটি পুলিশ স্টেশনের ম্যাচের খাবার রান্নার কাজ করতেন। দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবনের পর আজ লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই মাস আগে হানিফ মিয়া কর্মরত অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে প্রবাসী হানিফ মিয়ার লাশ ঢাকার এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছায়। আজ সকালে প্রবাসীর মরদেহ দেখে পুরো পরিবার শোকে ভেঙে পড়েন।

বাবার লাশ দেখে বারবার মূর্ছা যান ছেলে হাসান। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে পরিবারের বড় ছেলে সন্তান হাসান।

এমতাবস্থায় হাসানের আপন চাচাতো ভাই আরফিন তাকে জোর করেই পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। আজ পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল।

প্রবাসী বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই শোকাবহ বেদনাদায়ক মন নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে। শিক্ষার্থী হাসান পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পরই বাদ যোহর প্রবাসী হানিফ মিয়ার জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় প্রবাসী বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার হলে ছেলে

তারিখ : ০৮:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

দেবিদ্বার প্রতিনিধি।।
প্রবাস থেকে লাশ হয়ে ফেরা প্রবাসী বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার আসনে বসতে হলো মো. হাসান নামের এক শিক্ষার্থীকে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৭ টার দিকে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ইউছুফপুর গ্রামে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

মো. হাসান কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ইউছুফপুর আইডিয়াল হাইস্কুলের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী। সে ২০২৫ অর্থবছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। হাসান উপজেলার ইউছুফপুর গ্রামের মৃত প্রবাসী মো. হানিফ মিয়া ছেলে।

সরেজমিনে ইউছুফপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে হানিফ মিয়া ২০০৮ সালে প্রবাসে পাড়ি জমান। সেখানে সৌদি আরবের হাবুনা অঞ্চলে একটি পুলিশ স্টেশনের ম্যাচের খাবার রান্নার কাজ করতেন। দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবনের পর আজ লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই মাস আগে হানিফ মিয়া কর্মরত অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে প্রবাসী হানিফ মিয়ার লাশ ঢাকার এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছায়। আজ সকালে প্রবাসীর মরদেহ দেখে পুরো পরিবার শোকে ভেঙে পড়েন।

বাবার লাশ দেখে বারবার মূর্ছা যান ছেলে হাসান। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে পরিবারের বড় ছেলে সন্তান হাসান।

এমতাবস্থায় হাসানের আপন চাচাতো ভাই আরফিন তাকে জোর করেই পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। আজ পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল।

প্রবাসী বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই শোকাবহ বেদনাদায়ক মন নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে। শিক্ষার্থী হাসান পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পরই বাদ যোহর প্রবাসী হানিফ মিয়ার জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।