০১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষক সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় ফের অস্থিরতায় কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুল তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কুবির শিক্ষক–শিক্ষার্থী বিনিময় চুক্তি, নেই টিউশন ফি বেগম জিয়ার আরোগ্য কামনায় হাজী ইয়াছিনের ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী সমন্বয় সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা প্রদান জীবনের বাকি সময়টা কুমিল্লা-৬ আসনের নেতাকর্মীদের সঙ্গেই থাকতে চাই -হাজী ইয়াছিন বুড়িচংয়ে যৌতুকের দাবিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ; আটক ২ কুবির দত্ত হলে প্রথমবারের মতো আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন সংবাদ প্রকাশে নির্ভীক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক যুগ শিশুদের নিয়ে কুবি রোটারেক্ট ক্লাবের ‘পুষ্পায়ন’ কর্মসূচি

কুমিল্লায় শ্বশুরের একাধিকবার ধর্ষণে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ; অবশেষে শ্বশুর গ্রেপ্তার

  • তারিখ : ০৫:২৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • 86

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ মার্চ) সকালে থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় ভুক্তভোগীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার কিছুক্ষণের মধ্যে শ্বশুর ছেরু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাত মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে শ্রীপুর ইউনিয়নের ছেরু মিয়ার প্রবাসী ছেলের সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর তার শ্বশুর ছেরু মিয়া শাশুড়ি অসুস্থ বলে ভুক্তভোগীকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর গত ৪ মাস আগে ভিকটিমের জামাই ছুটিতে দেশে আসে এবং সংসার করতে থাকে। গত ১৮ মার্চ ভুক্তভোগীর স্বামী তার স্ত্রীকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করালে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে ডাক্তার মতামত দেয়।

এরপর স্বামী তার স্ত্রীকে রিপোর্টসহ বাড়িতে নিয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিম জানান, তার শ্বশুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ঘরে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে। কাউকে বললে মেরে লাশ গুম করার হুমকিও দেয়। ভয়ে ভিকটিম ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টি কাউকে বলেনি।

এদিকে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানার পর ভিকটিমের স্বামী ও তার মা অভিযুক্ত ছেরু মিয়াকে কিছু না বলে উল্টো গত ১৮ মার্চ বিকেলে ভুক্তভোগীকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য ক্লিনিকে নিতে চায়। কিন্তু ভিকটিম রাজি না হওয়ায় তাকে ঘরে আটকে রাখে। এছাড়াও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আর গর্ভপাত ঘটানো হলে ভুক্তভোগীকে ১০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু ভুক্তভোগী প্রস্তাবে রাজি না হয়ে কৌশলে বিষয়টি তার মাকে অবহিত করে ও আইনের আশ্রয় নেয়।

ভিকটিমের বাবা বলেন, মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছে।

এদিকে ভিকটিমের স্বামী বলেন, শ্বশুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে, তা সত্য। মানুষ ভুল করতেই পারে। তবে সামাজিকভাবে সালিশ বৈঠকে বসে সমাধান করে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে চাই। আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান ও সর্দার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শ্বশুরের কর্তৃক পুত্রবধূকে ধর্ষণের ঘটনা শুনেছি। তবে ভিকটিমের স্বামী তাকে গ্রহণ করতে আগ্রহী রয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ছেরু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। আজ (শনিবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় শ্বশুরের একাধিকবার ধর্ষণে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ; অবশেষে শ্বশুর গ্রেপ্তার

তারিখ : ০৫:২৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ মার্চ) সকালে থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় ভুক্তভোগীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার কিছুক্ষণের মধ্যে শ্বশুর ছেরু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাত মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে শ্রীপুর ইউনিয়নের ছেরু মিয়ার প্রবাসী ছেলের সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর তার শ্বশুর ছেরু মিয়া শাশুড়ি অসুস্থ বলে ভুক্তভোগীকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর গত ৪ মাস আগে ভিকটিমের জামাই ছুটিতে দেশে আসে এবং সংসার করতে থাকে। গত ১৮ মার্চ ভুক্তভোগীর স্বামী তার স্ত্রীকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করালে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে ডাক্তার মতামত দেয়।

এরপর স্বামী তার স্ত্রীকে রিপোর্টসহ বাড়িতে নিয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিম জানান, তার শ্বশুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ঘরে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে। কাউকে বললে মেরে লাশ গুম করার হুমকিও দেয়। ভয়ে ভিকটিম ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টি কাউকে বলেনি।

এদিকে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানার পর ভিকটিমের স্বামী ও তার মা অভিযুক্ত ছেরু মিয়াকে কিছু না বলে উল্টো গত ১৮ মার্চ বিকেলে ভুক্তভোগীকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য ক্লিনিকে নিতে চায়। কিন্তু ভিকটিম রাজি না হওয়ায় তাকে ঘরে আটকে রাখে। এছাড়াও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আর গর্ভপাত ঘটানো হলে ভুক্তভোগীকে ১০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু ভুক্তভোগী প্রস্তাবে রাজি না হয়ে কৌশলে বিষয়টি তার মাকে অবহিত করে ও আইনের আশ্রয় নেয়।

ভিকটিমের বাবা বলেন, মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছে।

এদিকে ভিকটিমের স্বামী বলেন, শ্বশুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে, তা সত্য। মানুষ ভুল করতেই পারে। তবে সামাজিকভাবে সালিশ বৈঠকে বসে সমাধান করে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে চাই। আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান ও সর্দার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শ্বশুরের কর্তৃক পুত্রবধূকে ধর্ষণের ঘটনা শুনেছি। তবে ভিকটিমের স্বামী তাকে গ্রহণ করতে আগ্রহী রয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ছেরু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। আজ (শনিবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।