১০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় রানী মা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সংবাদপত্র বিলিকারীদের মাঝে কম্বল বিতরণ দারুসসালাম মাদানীয়া মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত খাজা গরীব এ নেওয়াজ (রঃ) এর জন্মদিন উপলক্ষে মুরাদনগরে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল মুক্ত চিন্তার শুদ্ধ প্রকাশে নিরন্তর-কুমিল্লায় ধ্বনি আবৃত্তির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কুমিল্লার হোমনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক আটক কুমিল্লায় জলাতংক বিস্তার রোধে বিড়াল-কুকুরের বিনামূল্যে চেকাপ ও ভেক্সিন ক্যাম্প চৌদ্দগ্রামের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী; স্মৃতির প্রাঙ্গনে প্রীতির বন্ধনে মিলনমেলা কুমিল্লায় ঢাকাগামী বিএনপির নেতাকর্মীদের বাস দুর্ঘটনা, আহত ৩২ কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বুড়িচংয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় সড়কের ইট তুলে নিয়ে সেতুর কাজে লাগালেন আ.লীগ নেতা

  • তারিখ : ০৯:৩১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 69

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় গ্রামীণ সড়কের ইট তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন ধনপতিখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইট তুলে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা-কালারাইয়া এলাকার গ্রামীণ সড়কের ২৫০ ফুটের সলিংয়ের ইট তুলে নেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। তুলে নেওয়া ইটগুলো আরসি নদীর ওপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের কাজে ব্যবহার করছে। ব্রিজের ঠিকাদার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। ব্রিজের কাজে ভালো মানের ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও সড়কের পুরোনো ইট তুলে নিয়ে ব্রিজের কাজে লাগানোয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আরসি নদীর ওপর ব্রিজের কাজ শুরু হলেও কাজের প্রথমটাই শুরু করেছে রাস্তার পচা ইট দিয়ে। এর আগেও রুহুল আমিন চেয়ারম্যান একটি কালভার্ট করেছিলেন, যা উদ্বোধনের আগেই ভেঙে যায়। আমরা চাই সাব-কন্ট্রাক্টর রুহুল আমিন চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে এই কাজের মূল ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করানো হোক।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মনির হোসেন বলেন, আমরা চাই আমাদের এই ব্রিজটি যেন সঠিকভাবে হয়। টেন্ডার অনুযায়ী সব কিছুতে যেন নতুন সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হয়। সড়কের ইট তুলে নেওয়ার প্রতিবাদ করায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন তিনি। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। এই ব্রিজটি ১০০ মিটার সড়কসহ ৪ কোটি টাকার টেন্ডার। সড়কের যে অংশ থেকে ইট নেওয়া হয়েছে সেই অংশটা নতুন করে কার্পেটিং করব। কিছু মানুষ অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে এসব অভিযোগ করছে।

মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী রায়হানুল আলম চৌধুরী বলেন, ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ও সঙ্গে ১০০ মিটার সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজ আছে। এটা এই ঠিকাদারকেই করতে হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় সড়কের ইট তুলে নিয়ে সেতুর কাজে লাগালেন আ.লীগ নেতা

তারিখ : ০৯:৩১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় গ্রামীণ সড়কের ইট তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন ধনপতিখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইট তুলে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা-কালারাইয়া এলাকার গ্রামীণ সড়কের ২৫০ ফুটের সলিংয়ের ইট তুলে নেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। তুলে নেওয়া ইটগুলো আরসি নদীর ওপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের কাজে ব্যবহার করছে। ব্রিজের ঠিকাদার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। ব্রিজের কাজে ভালো মানের ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও সড়কের পুরোনো ইট তুলে নিয়ে ব্রিজের কাজে লাগানোয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আরসি নদীর ওপর ব্রিজের কাজ শুরু হলেও কাজের প্রথমটাই শুরু করেছে রাস্তার পচা ইট দিয়ে। এর আগেও রুহুল আমিন চেয়ারম্যান একটি কালভার্ট করেছিলেন, যা উদ্বোধনের আগেই ভেঙে যায়। আমরা চাই সাব-কন্ট্রাক্টর রুহুল আমিন চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে এই কাজের মূল ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করানো হোক।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মনির হোসেন বলেন, আমরা চাই আমাদের এই ব্রিজটি যেন সঠিকভাবে হয়। টেন্ডার অনুযায়ী সব কিছুতে যেন নতুন সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হয়। সড়কের ইট তুলে নেওয়ার প্রতিবাদ করায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন তিনি। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। এই ব্রিজটি ১০০ মিটার সড়কসহ ৪ কোটি টাকার টেন্ডার। সড়কের যে অংশ থেকে ইট নেওয়া হয়েছে সেই অংশটা নতুন করে কার্পেটিং করব। কিছু মানুষ অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে এসব অভিযোগ করছে।

মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী রায়হানুল আলম চৌধুরী বলেন, ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ও সঙ্গে ১০০ মিটার সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজ আছে। এটা এই ঠিকাদারকেই করতে হবে।