কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ৬টি মাজার ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ৬টি মাজার ও একটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় উত্তেজিত জনতা হেসাখাল ইউপির তেতৈয়া রৌশন শাহ্ মাজার, হিয়াজোড়া গ্রামে গণি শাহ্ মাজার, সুবেদার আবদুর রহিমের মাজার, হাবিলদার আবুল কাশেমের মাজার, আবদুল জলিলের মাজার ও নিজাম উদ্দিনের কবরস্থান এবং বক্তা সৈয়দ গোলাম মহিন উদ্দিন টিপু হিয়াজুড়ির বাড়িঘর ও মৌকরা ইউপির ফতেপুর পেটেন শাহর মাজার ভাঙচুর করেছে।

হিয়াজোড়া গ্রামের রৌশন আরা বেগম বলেন, সকালে তার স্বামী আবুল কাশেমের মাজার ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় তার ছেলে টিপুর সন্ধ্যান চান তারা। তাকে বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছি বলে পুরো ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।

টিপুর ছোটবোন জান্নাতুল ফেরদাউস জনি বলেন, সকালে গোত্রশাল গ্রামের মাওলানা জসিম উদ্দিন ও নাগোদা গ্রামের মাওলানা সোলাইমান হুজুরের নেতৃত্বে কয়েকশ লোকজন প্রথমে মাজার ভাঙচুর করে। পরে বাড়িঘরে এসে হামলা করে টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় মেম্বার মামুন বলেন, সকালে মুখোশ পড়া কয়েকশ উত্তেজিত জনতা একই গ্রামে ৪টি মাজার ভাঙচুর করেছে। তার মধ্যে গণি শাহ্ এর মাজারে কোনো ধরনের শিরক হয় না। কিন্তু এ মাজারটিও তারা ভাঙচুর করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে মাওলানা জসিম উদ্দিন ও সোলাইমান বলেন, মাজার ভাঙচুরের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। আমরা মাজার ও বাড়িঘর ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নয়। আমাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগটি মিথ্যা। টিপু ইসলামবিরোধী কর্মকান্ড করায় তার বিরুদ্ধে পূর্বে আমরা মামলা দিয়েছি। ওই মামলায় জেল খেটেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফজলুল হক বলেন, ৫টি মাজার ভাঙচুরের তথ্য এসেছে। তবে কেউ অভিযোগ দেননি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  

You cannot copy content of this page