০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন দুই যুবক, ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার ‎ব্রাহ্মণপাড়া চান্দলায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি কুবির মেডিকেল সেবা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের ৮ দাবি ফের গ্রেপ্তার দেবিদ্বার পৌরসভার মেয়র শামিম হোমনায় রেহানা মজিদ মহিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত প্রথমবারের মতো কুবিতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর সুপারিশ কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ফ্যান-লাইট ও ফ্রিজের মাসিক বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা!

কুমিল্লায় আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রতিবন্ধীর জায়গা দখলের পায়তারা

  • তারিখ : ০৭:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১
  • 119

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা জগতপুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী আব্দুল মতিন মিয়ার জায়গা দখলের পায়তারা করছে একদল স্বার্থান্বেষী মহল।

স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জীবিকা নির্বাহ করতে পৈতৃক সম্পত্তি ফেলে প্রতিবন্ধী আব্দুল মতিন মিয়া শহরে চলে যান। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত তাদের আর গ্রামে তেমন আসা হয়নি। ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ বছর পর গ্রামে এসে তিনি জানতে পারেন প্রায় সব জমিজামা বিক্রি হয়ে গেছে। হতাশার মেঘ ছেয়ে যায় আব্দুল মতিন মিয়ার কপালে। কালের নির্মম অমানিশা তার পরিবারের উপর বাড়তি চাপ হয়ে যায়। তিন ছেলে ও এক মেয়ের ভরনপোষণ করতেই যার হিমশিম খেতে হয় তার উপর আবার পৈতৃক ভিটা ও জমি ফিরে পেতে কোর্টে যাতায়াত! জমি জমা ফিরে পেতে আব্দুল মতিন মিয়ার একেবারে দূর্বিষহ জীবনে ধাবিত হয়।
কোর্টে দীর্ঘ নয় বছর মামলা মোকদ্দমা চলার পর মহামান্য আদালত প্রতিবন্ধী আব্দুল মতিন মিয়ার পক্ষে রায় দেন।

রায় নিয়ে এসে গ্রামে ঠাই হয়নি আব্দুল মতিন মিয়ার। দখলদারদের অত্যাচারে আরো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন তিনি। পরে আবার তিতাস থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় ৩ টি।

ঢাকা থেকে গ্রামে আবার গ্রাম থেকে কোর্ট আসা যাওয়া করতে করতে কেটে যায় বেশ কয়েক বছর, কিন্ত জায়গা ফিরে পাননি তিনি।

গত ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আদালতের নির্দেশে আব্দুল মতিন মিয়াকে লাল নিশানাসহ ডাকঢোল পিটিয়ে জায়গা বুঝিয়ে দিয়ে যান।
প্রশাসন চলে যাবার পরই বিবাদী খুরশিদ মিয়া, হানিফা, সুমন, শিপন, মাসুম, ইব্রাহিম, আমেনা,বকুল বেগম, বিল্লাল হোসেন গংরা অতর্কিত হামলা চালায় ও আবার জোরদখল করে এবং বাদী পক্ষের ছেলে মামুন মিয়াকে আহত করে। এখনো জোর পূর্বক জায়গা দখল করার পায়তারা করছে।

আবুল মতিন মিয়ার জায়গায় মতিন মিয়ার ছেলেরা গত ১৬ ই মার্চ বেড়া দেয় পরে খুরশিদ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন, বাবুল ও বাবুলের স্ত্রী রুজিনা বেগম তা ভেঙে ফেলে দেয়।

এই বিষয়ে বাবুল মিয়া ও রুজিনা বেগমকে প্রশ্ন করা হলে, তারা বলেন আমরা বেড়া সড়িয়ে রেখেছি। ভাঙ্গিনি। তারা আমাদের চলাচলের রাস্তার উপর বেড়া দিয়েছে। তাই সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায় বেড়া গুলো কুপিয়ে নষ্ট করা হয়েছে।

মতিন মিয়ার ছেলে মামুন বলেন, আমরা রাস্তা বন্ধ করিনি। পূর্ব দিক দিয়ে রাস্তা দিয়েছি। তারা চায় দুই দিক দিয়ে রাস্তা কিন্তু আমার জায়গা কম। দুই দিক দিয়ে রাস্তা দিলে আমরা ঘর উঠাতে পারব না। কিন্তু তারা জোর করে দখল করবে? এটা কেমন আইন? প্রতিনিয়ত জাকির ও বাবুল আমাদেকে হুমকি দিচ্ছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রতিবন্ধীর জায়গা দখলের পায়তারা

তারিখ : ০৭:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা জগতপুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী আব্দুল মতিন মিয়ার জায়গা দখলের পায়তারা করছে একদল স্বার্থান্বেষী মহল।

স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জীবিকা নির্বাহ করতে পৈতৃক সম্পত্তি ফেলে প্রতিবন্ধী আব্দুল মতিন মিয়া শহরে চলে যান। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত তাদের আর গ্রামে তেমন আসা হয়নি। ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ বছর পর গ্রামে এসে তিনি জানতে পারেন প্রায় সব জমিজামা বিক্রি হয়ে গেছে। হতাশার মেঘ ছেয়ে যায় আব্দুল মতিন মিয়ার কপালে। কালের নির্মম অমানিশা তার পরিবারের উপর বাড়তি চাপ হয়ে যায়। তিন ছেলে ও এক মেয়ের ভরনপোষণ করতেই যার হিমশিম খেতে হয় তার উপর আবার পৈতৃক ভিটা ও জমি ফিরে পেতে কোর্টে যাতায়াত! জমি জমা ফিরে পেতে আব্দুল মতিন মিয়ার একেবারে দূর্বিষহ জীবনে ধাবিত হয়।
কোর্টে দীর্ঘ নয় বছর মামলা মোকদ্দমা চলার পর মহামান্য আদালত প্রতিবন্ধী আব্দুল মতিন মিয়ার পক্ষে রায় দেন।

রায় নিয়ে এসে গ্রামে ঠাই হয়নি আব্দুল মতিন মিয়ার। দখলদারদের অত্যাচারে আরো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন তিনি। পরে আবার তিতাস থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় ৩ টি।

ঢাকা থেকে গ্রামে আবার গ্রাম থেকে কোর্ট আসা যাওয়া করতে করতে কেটে যায় বেশ কয়েক বছর, কিন্ত জায়গা ফিরে পাননি তিনি।

গত ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আদালতের নির্দেশে আব্দুল মতিন মিয়াকে লাল নিশানাসহ ডাকঢোল পিটিয়ে জায়গা বুঝিয়ে দিয়ে যান।
প্রশাসন চলে যাবার পরই বিবাদী খুরশিদ মিয়া, হানিফা, সুমন, শিপন, মাসুম, ইব্রাহিম, আমেনা,বকুল বেগম, বিল্লাল হোসেন গংরা অতর্কিত হামলা চালায় ও আবার জোরদখল করে এবং বাদী পক্ষের ছেলে মামুন মিয়াকে আহত করে। এখনো জোর পূর্বক জায়গা দখল করার পায়তারা করছে।

আবুল মতিন মিয়ার জায়গায় মতিন মিয়ার ছেলেরা গত ১৬ ই মার্চ বেড়া দেয় পরে খুরশিদ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন, বাবুল ও বাবুলের স্ত্রী রুজিনা বেগম তা ভেঙে ফেলে দেয়।

এই বিষয়ে বাবুল মিয়া ও রুজিনা বেগমকে প্রশ্ন করা হলে, তারা বলেন আমরা বেড়া সড়িয়ে রেখেছি। ভাঙ্গিনি। তারা আমাদের চলাচলের রাস্তার উপর বেড়া দিয়েছে। তাই সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায় বেড়া গুলো কুপিয়ে নষ্ট করা হয়েছে।

মতিন মিয়ার ছেলে মামুন বলেন, আমরা রাস্তা বন্ধ করিনি। পূর্ব দিক দিয়ে রাস্তা দিয়েছি। তারা চায় দুই দিক দিয়ে রাস্তা কিন্তু আমার জায়গা কম। দুই দিক দিয়ে রাস্তা দিলে আমরা ঘর উঠাতে পারব না। কিন্তু তারা জোর করে দখল করবে? এটা কেমন আইন? প্রতিনিয়ত জাকির ও বাবুল আমাদেকে হুমকি দিচ্ছে।