মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি
কুমিল্লার মুরাদনগরে গাজা ইয়াবাসহ ওবায়দুল হাসান রাসেল নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পরমতলা বাজার থেকে ওই আ’লীগ সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় দুই ঘন্টা থানা হাজতে আটক রাখার পর জেলা নেতৃবৃন্দের জোড়ালো তদবিরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। রাসেল (৪৫) পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
তবে পুলিশের দাবি তাকে গাঁজা এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছিল। ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা এলাকার ইউপি সদস্য রাসেল মুন্সি জানায়, ওবায়দুল হাসান রাসেল প্রায়ই মাদক বিক্রি করতে পরমতলা এলাকায় আসেন। এনিয়ে তাকে কয়েক দফা সতর্ক করা হয়। শুক্রবার সকালে এক সহযোগীসহ মোটরসাইকেল যোগে ফের মাদক বিক্রির জন্য পরমতলা বাজারে আসলে স্থানীয় লোকজন তাকে ধাওয়া করে আটক করেন। এ সময় তার কাছে ১০ পুড়িয়া গাঁজা এবং ৫-৬ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে তার সহযোগী অপর মাদক বিক্রেতা পালিয়ে যায়।
পরে ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ এসে রাসেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাকে মাদকসহ আটকের সময় বাজারের অনেক লোকজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।
আটক হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল হাসান রাসেল বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরমতলা বাজারে আমাকে আটক করে মারধর করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করেন। যারা আমার উপর আক্রমণ করেছে তারাই আমাকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর পাঁয়তারা করেছে। আমি মাদক বিক্রি করতে সেখানে যাইনি, ওই রাস্তা হয়ে মুরাদনগর উপজেলায় একটি পোগ্রামে যাচ্ছিলাম।
মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাশিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গাঁজার পুরিয়া দিয়ে রাসেলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রাসেলের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page