মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা।
দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক পক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় ৮ টি সেলাই লেগেছে। রোববার রাত ৮ টায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বাজগড্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা কুমিল্লা চকবাজার পুরিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ। এ ঘটনায় একজন আসামীকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় রোববার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে নামোল্লেখ করে ৭ ও অজ্ঞাত ৫ জনসহ ১২ জনকে আসামীকে মামলা দায়ের করেন। সোমববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি সহিদুর রহমান বলেন, কোতয়ালী মডেল থানাধীন বাজগড্ডা এলাকায় নারী সংক্রান্ত ঝামেলার জের ধরে দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়। খবর পেয়ে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক কায়সার হামিদ ও উপপরিদর্ক মফিজুল ইসলাম খান ঘটনাস্থলে যান। দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় তাদের উপর হামলা চালায় দূবৃর্ত্তরা। দূর্বত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পরিদর্শক কায়সারের মাথা কেটে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত কায়সারকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই সময় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকগণ কায়সারের মাথার কাটার অংশে ৮ টি সেলাই করে দেন।
ওসি সহিদ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম খান বাদী হয়ে রাতেই ওই এলাকার ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন ওই এলাকার মোঃ মহসিন (৩২), ইমরান হোসেন (২৮), জসিম উদ্দিন (২৮), মোঃফারুক (২৮), মোঃ ফয়সাল (২৭), মোঃ জাহিদ (২৮) ও মোঃ সাইফুল ইসলাম (২২)।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার তিন নম্বর আসামী জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। সংঘর্ষে জসিম আহত হয়। জসিমকে বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের তত্বাবধানে চিকিৎসাধী রয়েছে।
এদিকে ঘটনা শুনেই রাতে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখতে যান। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page