নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় তিতাস নদীতে লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি করার সময় নদীর ওপর থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নদীর শিবপুর খালের মুখে মঙ্গলবার ভোরে মরদেহটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।
মৃত কিশোর শামীম হোসেন তিতাস শিবপুর গ্রামের সিএনজিচালক আব্দুল মতিনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাশ জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিতাস নদীর উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারের সঙ্গে জড়িয়ে প্রায় ১৫ জন দগ্ধ হয়। এ সময় পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয় শামীম হোসেন।
মঙ্গলবার ভোরে তার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। কিশোরের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে।
ওসি আরও জানান, দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে রয়েছে।
কুমিল্লার তিতাস নদীতে লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি করার সময় নদীর ওপর থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ১৫ জন দগ্ধ হয়। সোমবার রাত ১০টার দিকে নদীর দড়িকান্দি সেতুর পূর্ব পাশে মেসার্স বাদল সরকার অ্যান্ড সন্স নামের একটি লঞ্চে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সময় তিনজন নদীতে পড়ে যান। তাদের মধ্যে দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও একজন নিখোঁজ ছিল।
গুরুতর আহতদের জেলে ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলা প্রশাসন ও তিতাস থানা নদীতে ডিজে পার্টির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পুলিশ কিছু স্থানে অভিযানও চালিয়েছে। তাও থেমে নেই এসব ডিজে পার্টি। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি চলে কিশোর-তরুণদের এসব ডিজে পার্টি।
সূত্র- নিউজ বাংলা।।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page