০৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হোমনায় চার দিন ধরে নিখোঁজ সাংবাদিক দিদার, পরিবারের সন্দেহ অপহরণ বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন কুমিল্লায় ৩ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বিক্রি; তিনদিন ধরে ধর্ষণ, নোয়াখালীর ৫ যুবক গ্রেফতার বাজগড্ডায় জিকরুল্লাহ ইসলামিয়া যুব কমিটির উদ্যোগে ঈদে মাজিউন্নাবী (সা.) মাহফিল শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিনকে কুমিল্লায় ফুলেল সংবর্ধনা চৌদ্দগ্রামে তুলাপুষ্কুরণী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা আলী হোসেন সজিব বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই ৩১ দফার মূল লক্ষ্য -হাজী ইয়াছিন বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্র অপহরণের পর নির্মম নির্যাতন, পাঁচ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে সোহাগ বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত

কুমিল্লায় ১০ মাসে ১৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা

  • তারিখ : ০৬:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • 21

কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৬৭টি অভিযানে ২৩৮ প্রতিষ্ঠানকে ১৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের বুধবার পর্যন্ত এ জরিমানা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া ভোক্তাদের আবেদন করা ৮৫ অভিযোগের মধ্যে ৮৩টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

এদিকে বুধবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার এলাকায় তদারকি অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম ইসলাম এ তদারকি অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে মেসার্স নিউ বাংলা রেস্তোরাঁকে চার হাজার টাকা ও মেসার্স জিহাদ ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তিন কোটা রং ও ১০ কেজি পোড়া তেল জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে স্বাস্থ্য পরিদর্শক একে আজাদ ও জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করেন।

অভিযানে ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। যাতে কেউ অযাচিতভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি না করতে পারে এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে কুমিল্লায় এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৬৫৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে এক হাজার ৯৩২টি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি ১২ লাখ আট হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তাদের ৯১৯টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে ৯১৭টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

কুমিল্লার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লোকবলের সংকট। জেলা কার্যালয়ে দুজন মাত্র লোক দিয়ে পুরো জেলায় সঠিকভাবে তদারকি করা যায় না। তা ছাড়া একটি অভিযান পরিচালনা করতে হলে, বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের সহযোগিতা নিয়ে করতে হয়। ফলে বিভিন্ন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক আরও লোকবল থাকলে আমরা মাঠে আরও বেশি কাজ করতে পারব। সীমাবদ্ধতার পরও আমরা কোটি টাকার ওপর জরিমানা করেছি। ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা সব সময় কাজ করে যাব।’

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ১০ মাসে ১৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা

তারিখ : ০৬:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২

কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৬৭টি অভিযানে ২৩৮ প্রতিষ্ঠানকে ১৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের বুধবার পর্যন্ত এ জরিমানা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া ভোক্তাদের আবেদন করা ৮৫ অভিযোগের মধ্যে ৮৩টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

এদিকে বুধবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার এলাকায় তদারকি অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম ইসলাম এ তদারকি অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে মেসার্স নিউ বাংলা রেস্তোরাঁকে চার হাজার টাকা ও মেসার্স জিহাদ ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তিন কোটা রং ও ১০ কেজি পোড়া তেল জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে স্বাস্থ্য পরিদর্শক একে আজাদ ও জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করেন।

অভিযানে ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। যাতে কেউ অযাচিতভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি না করতে পারে এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে কুমিল্লায় এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৬৫৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে এক হাজার ৯৩২টি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি ১২ লাখ আট হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তাদের ৯১৯টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে ৯১৭টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

কুমিল্লার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লোকবলের সংকট। জেলা কার্যালয়ে দুজন মাত্র লোক দিয়ে পুরো জেলায় সঠিকভাবে তদারকি করা যায় না। তা ছাড়া একটি অভিযান পরিচালনা করতে হলে, বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের সহযোগিতা নিয়ে করতে হয়। ফলে বিভিন্ন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক আরও লোকবল থাকলে আমরা মাঠে আরও বেশি কাজ করতে পারব। সীমাবদ্ধতার পরও আমরা কোটি টাকার ওপর জরিমানা করেছি। ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা সব সময় কাজ করে যাব।’