নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা নগর তীব্র গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে। গত সাত দিন যাবত চলছে জনজীবনে বিপর্যয়। সকাল থেকেই শুরু হয় ভ্যাপসা গরম। সূর্য মাথার ওপর আসতে আসতে গরমের তীব্রতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। একটু স্বস্তি খুঁজতে অনেকে আশ্রয় নিয়ে ভবনের ছায়ায়। কিন্তু তাতেও একটু স্বস্তি মিলছে না। আর ক্ষণে ক্ষণে তৃষ্ণা মিটাতে সাধারণ মানুষ-পথচারী ঠাণ্ডা পানিয় ডাব বা শরবত পান করছেন। অনেকেই আবার একাধিকবার গোসল কিংবা হাত ধুয়ে মাথয় পানি দিচ্ছেন। সকলের প্রশ্ন কবে—এ ভ্যাপসা গরম থেকে রক্ষা পাবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, কুমিল্লায় গতকাল বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৫.০৫। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.০৩ ডিগ্রি সেলসিয়েস।
কুমিল্লা সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের সালমা আক্তার বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে বাসার কাজকর্ম করে হাফিয়ে উঠি। এর মধ্যে বিদ্যুত থাকে না, তখন অনেক কষ্ট হয়।
আমডার আর রইদ কি বৃষ্টি কি। আমডা হইছি গরিব অটো ডাইবার। আমডা বউ জিয়ের পেটের লাইগগা গাড়ি নিয়া বাইর হইতে হয়। আমডা গরিবের দুঃখ কেডা বুঝব। বাবুল মিয়া, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক কুমিল্লা ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডাক্তার মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রাজনিত কারণে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে ডাব, লটকন, আমের জুস, লেবুর শরবত, স্যালাইন, তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। বাহিরে কোনো ধরনের জরুরি কাজ না থাকলে রোদে ঘুরাঘুরি থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page