০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা প্রদান জীবনের বাকি সময়টা কুমিল্লা-৬ আসনের নেতাকর্মীদের সঙ্গেই থাকতে চাই -হাজী ইয়াছিন বুড়িচংয়ে যৌতুকের দাবিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ; আটক ২ কুবির দত্ত হলে প্রথমবারের মতো আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন সংবাদ প্রকাশে নির্ভীক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক যুগ শিশুদের নিয়ে কুবি রোটারেক্ট ক্লাবের ‘পুষ্পায়ন’ কর্মসূচি কুমিল্লায় বই মেলায় অষ্টম দিনে কবিতা, আবৃত্তি ও সংগীতে প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক আয়োজন কুমিল্লায় মক্কা হসপিটালের শুভ উদ্বোধন খালেদা জিয়ার জন্য কালিরবাজারে দোয়া ও পথ সভা; ধানের শীষ নিয়েই নির্বাচন করব- হাজী ইয়াছিন ১৭ তম কুমিল্লা মিডিয়া টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জার্নালিষ্ট গ্লাডিয়েটরসের জয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শিক্ষকের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল

  • তারিখ : ১০:২০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • 55

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতি থেকে তিন শিক্ষকের সদস্যপদ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে সদস্য পদ বাতিল হওয়া শিক্ষকরা বলছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

সদস্য পদ বাতিল হওয়া তিনজন শিক্ষক হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার।

সোমবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাক্ষরিত পৃথক পৃথক তিনটি চিঠি থেকে এই বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চিঠিগুলোতে উল্লেখ করা হয়, গত ০৩ মে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে তিন শিক্ষকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে পাঁচ কার্যদিবসের মাঝে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলে সেটির জবাব দেন তিন শিক্ষকই। তবে সেটিকে ‘সন্তোষজনক নয় বলে বিবেচিত’ করে শিক্ষক সমিতি। সেই প্রেক্ষিতে গত ২৮ মে হতে তাদের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

এই বিষয় লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘আমার সদস্যপদ কেন বাতিল হলো তা আমি জানি না। আমি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছি, কিন্তু সেটিকে অসন্তোষজনক উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করা সম্পূর্ণ অবৈধ, অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছি। পাশাপাশি এটি আমার চরিত্র হননের জন্য একটি পন্থা মনে হচ্ছে।’

অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার বলেন, ‘আমার কারণ দর্শানো অসন্তোষজনক এমন উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করাটা রাজনৈতিক মনে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অযৌক্তিক।’

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করিনি বরং শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা তিন দপ্তরে তালা দিয়েছিলো সেটির বিরোধিতা করেছি। আমি মনে করি আমাদের সদস্যপদ বাতিল না করে যারা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার কাজ করেছে তাদের সদস্যপদ বাতিল করা উচিত। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

শিক্ষক সমিতির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমরা তিনজন আলোচনা করছি। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবো।’

এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘সদস্যপদ বাতিলের ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের যথাযথ আইন মেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সম্মতিক্রমেই উনাদের (তিন শিক্ষক) সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। তাই এটিকে অবৈধ এবং অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ নেই।’

error: Content is protected !!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শিক্ষকের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল

তারিখ : ১০:২০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতি থেকে তিন শিক্ষকের সদস্যপদ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে সদস্য পদ বাতিল হওয়া শিক্ষকরা বলছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

সদস্য পদ বাতিল হওয়া তিনজন শিক্ষক হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার।

সোমবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাক্ষরিত পৃথক পৃথক তিনটি চিঠি থেকে এই বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চিঠিগুলোতে উল্লেখ করা হয়, গত ০৩ মে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে তিন শিক্ষকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে পাঁচ কার্যদিবসের মাঝে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলে সেটির জবাব দেন তিন শিক্ষকই। তবে সেটিকে ‘সন্তোষজনক নয় বলে বিবেচিত’ করে শিক্ষক সমিতি। সেই প্রেক্ষিতে গত ২৮ মে হতে তাদের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

এই বিষয় লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘আমার সদস্যপদ কেন বাতিল হলো তা আমি জানি না। আমি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছি, কিন্তু সেটিকে অসন্তোষজনক উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করা সম্পূর্ণ অবৈধ, অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছি। পাশাপাশি এটি আমার চরিত্র হননের জন্য একটি পন্থা মনে হচ্ছে।’

অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শিকদার বলেন, ‘আমার কারণ দর্শানো অসন্তোষজনক এমন উল্লেখ করে সদস্যপদ বাতিল করাটা রাজনৈতিক মনে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অযৌক্তিক।’

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করিনি বরং শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা তিন দপ্তরে তালা দিয়েছিলো সেটির বিরোধিতা করেছি। আমি মনে করি আমাদের সদস্যপদ বাতিল না করে যারা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার কাজ করেছে তাদের সদস্যপদ বাতিল করা উচিত। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।’

শিক্ষক সমিতির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমরা তিনজন আলোচনা করছি। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবো।’

এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘সদস্যপদ বাতিলের ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের যথাযথ আইন মেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সম্মতিক্রমেই উনাদের (তিন শিক্ষক) সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। তাই এটিকে অবৈধ এবং অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ নেই।’