মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হারুনুর রশিদ মজুমদার নামে এক প্রবাসীকে যুবলীগ নেতা আখ্যা দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
সোমবার লিখিত বক্তব্যে প্রবাসী হারুনুর রশিদ মজুমদার বলেন, আমি এবং অপপ্রচারকারী প্রতিবেশি আমিন মজুমদার গং উভয়ে চৌদ্দগ্রাম এইচ জে মডেল পাইলট সরকারি হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা হাজী জাফর আলীর ওয়ারিশ। আমি যুবলীগ বা কোন রাজনৈতিক দলের পদে নেই। কিন্তু প্রতিবেশি আমিন মজুমদার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সক্রিয় নেতা। মূলত তার সাথে আমাদের বাড়ির পথের জায়গা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। দীর্ঘদিন বিরোধের প্রেক্ষিতে সামাজিক শালিশে ৯ ফুট রাস্তার রাখার সিদ্ধান্ত উভয়পক্ষ মেনে নেয়। কিন্তু আমিন মজুমদার গং সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত মঙ্গলবার সকালে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের পরিবারের উপর হামলা করে।
খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ বিবাদ মিমাংশার জন্য সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে ৯ ফুট রাস্তা রাখার সিদ্ধান্ত দিলে উভয়পক্ষ মেনে নেয়। কিন্তু আমিন মজুমদার গং পুলিশের মিমাংশার তথ্য গোপন করে সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম ক্যাম্পে গিয়ে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। সেনাবাহিনী চৌদ্দগ্রাম থানায় যোগাযোগ করলে উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত শুক্রবার সকালে শ্রীপুরে শালিশ বৈঠকে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকলেও আমিন মজুমদার ও রৌশনারা গং উপস্থিত হয়নি।
এরই প্রেক্ষিতে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ধারস্ত হলে উভয়পক্ষকে সোমবার দুপুরে বৈঠকের সিদ্ধান্ত দিলেও এরআগে রোববার পৌর এলাকার একটি মিলনায়তনে আমিন মজুমদার ও রৌশন আরা গং একটি সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে আমার সম্মানহানি করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হারুনুর রশিদ মজুমদারের স্বজন আমিনুল ইসলাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন মজুমদার, মোঃ হামিদুল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, নুর ইসলাম লাতু মিঞা, জহিরুল হক, পেয়ার আহম্মদ মজুমদার, আবুল হাশেম মজুমদার, আবুল হোসেন মজুমদার, সুমন মজুমদার, আলা উদ্দিন মজুমদার, রহিমা বেগম, শাহিনুর আক্তার, জোছনা বেগম, খোদেজা বেগম, আসমা আক্তারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page