০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুবিতে প্রথমবারের মতো সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা ও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ১ লাখ ৬৭ হাজার থেকে কমে ২ হাজার ৬০০ টাকা কুমিল্লার মুরাদনগরে অপহরণের পর যুবক খুন, ৩৬ দিন পর কঙ্কাল উদ্ধার কুমিল্লায় আ. লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩

দেবীদ্বারে ফলদ গাছের চারাগুলো ধরে কাঁদছিলেন বৃদ্ধ

  • তারিখ : ০৬:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • 26

এ আর আহমেদ হোসাইন,(দেবীদ্বার- কুমিল্লা )প্রতিনিধি।।

‘দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক রাতের আঁধারে কেটে ফেলা সখে লাগানো বিভিন্ন ফলদ গাছের চারাগুলো ধরে কাঁদছিলেন অশিতিপরায়ন এক বৃদ্ধ, আর বলছেন,- গাছগুলো আমার সখের লাগানো ছিল, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন নার্সারী থেকে বেছে বেছে আনা আম, কাঠাল এবং কাঠের কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম বাড়ির আঙ্গিনায়, সড়কের পাশে। কি অন্যায় করেছিল এ গাছগুলো ? এ কেমন নিষ্ঠুরতা!’ বৃহস্পতিবার সকালে দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক গাছ কাটার সংবাদে সরেজমিনে ঘটনাস্থল যেয়ে কাটা গাছ জড়িয়ে ওই বৃদ্ধ কান্না বিজড়িত কন্ঠে ওই আর্তি জানাচ্ছিলেন।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের ‘গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজ’ সড়কের পাশে।
ওই সড়কের পাশের বাড়ির অশিতিপরায়ন বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী(৮০) বলেন, বছর তিনেক আগে আমার পুত্র মোঃ কামাল হোসেন রাজশাহী থেকে উন্নতমানের আমের চাড়া, দেশের বিভিন্ন নার্সারী থেকে কাঠাল ও কাঠের চারা এনে নিজ বাড়ির আঙ্গীনায় এবং ‘গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজ’ সড়কের পাশে লাগিয়ে ছিলাম, সন্তানের মতো গাছগুলোর পরিচর্যা করে আসছিলাম। গাছগুলো মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছিল, বছর ঘুরে এলে থোকায় থোকায় ফল ধরার দশ্য দেখার অপেক্ষায় ছিলাম, সে দেখা আর হলোনা।

স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী সহ বিভিন্ন নার্সারী থেকে আনা গাছগুলো সখের লাগানো ছিল। বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী প্রতিদিনই গাছগুলো পরিচর্যায় করতে দেখতাম। আজ সকালে এসে দেখি ওনার সখের গাছগুলোর মধ্যে আমা কাঠাল এমনকি কাঠের কেশ কিছু গাছ কুপিয়ে কেটে ফেলে রেখেছে। কারা এ কাজ করতে পারে জানতে চাইলে জবাবে বলেন, ওদের নাম বলা যাবেনা।

বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী’র পুত্র মোঃ কামাল হোসেন জানান, আমরা বাড়িতে থাকিনা। বাবা থাকেন, বাবার ইচ্ছাতেই কিছু উন্নতমানের আম, কাঠালের ফলদ ও বৃক্ষের গাছের চারা এনে দেই। সেগুলো বাবা সন্তানের মতোই পরিচর্যা করে আসছেন। খুব খারাপ লাগে তখন বাবা যখন কাটা গাছগুলো ধরে সন্তান হারার মতো হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।

এ বিষয়ে মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, কারা কখন এ গাছগুলো কেটেছে তা দেখিনি। তবে বাড়ির সামনে একটি পাকা ভিটি দোকান ঘর নির্মান করি, যা এখনো চালু করা হয়নি। ওই দোকান ঘরে একদল বখাটে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা মারত। জুয়া খেলত, মাদক সেবন করত, তাদের বাঁধা দেই, দোকান ছেড়ে চলে যেতে বলি। ওরা আমার কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে হুমকী দিয়ে যায়। ওই কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওরা এ কাজটি করতে পারে বলে সন্দেহ করলেও মামলা করে আর বিপদে পড়তে চাইনা।

error: Content is protected !!

দেবীদ্বারে ফলদ গাছের চারাগুলো ধরে কাঁদছিলেন বৃদ্ধ

তারিখ : ০৬:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

এ আর আহমেদ হোসাইন,(দেবীদ্বার- কুমিল্লা )প্রতিনিধি।।

‘দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক রাতের আঁধারে কেটে ফেলা সখে লাগানো বিভিন্ন ফলদ গাছের চারাগুলো ধরে কাঁদছিলেন অশিতিপরায়ন এক বৃদ্ধ, আর বলছেন,- গাছগুলো আমার সখের লাগানো ছিল, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন নার্সারী থেকে বেছে বেছে আনা আম, কাঠাল এবং কাঠের কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম বাড়ির আঙ্গিনায়, সড়কের পাশে। কি অন্যায় করেছিল এ গাছগুলো ? এ কেমন নিষ্ঠুরতা!’ বৃহস্পতিবার সকালে দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক গাছ কাটার সংবাদে সরেজমিনে ঘটনাস্থল যেয়ে কাটা গাছ জড়িয়ে ওই বৃদ্ধ কান্না বিজড়িত কন্ঠে ওই আর্তি জানাচ্ছিলেন।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের ‘গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজ’ সড়কের পাশে।
ওই সড়কের পাশের বাড়ির অশিতিপরায়ন বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী(৮০) বলেন, বছর তিনেক আগে আমার পুত্র মোঃ কামাল হোসেন রাজশাহী থেকে উন্নতমানের আমের চাড়া, দেশের বিভিন্ন নার্সারী থেকে কাঠাল ও কাঠের চারা এনে নিজ বাড়ির আঙ্গীনায় এবং ‘গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজ’ সড়কের পাশে লাগিয়ে ছিলাম, সন্তানের মতো গাছগুলোর পরিচর্যা করে আসছিলাম। গাছগুলো মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছিল, বছর ঘুরে এলে থোকায় থোকায় ফল ধরার দশ্য দেখার অপেক্ষায় ছিলাম, সে দেখা আর হলোনা।

স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী সহ বিভিন্ন নার্সারী থেকে আনা গাছগুলো সখের লাগানো ছিল। বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী প্রতিদিনই গাছগুলো পরিচর্যায় করতে দেখতাম। আজ সকালে এসে দেখি ওনার সখের গাছগুলোর মধ্যে আমা কাঠাল এমনকি কাঠের কেশ কিছু গাছ কুপিয়ে কেটে ফেলে রেখেছে। কারা এ কাজ করতে পারে জানতে চাইলে জবাবে বলেন, ওদের নাম বলা যাবেনা।

বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী’র পুত্র মোঃ কামাল হোসেন জানান, আমরা বাড়িতে থাকিনা। বাবা থাকেন, বাবার ইচ্ছাতেই কিছু উন্নতমানের আম, কাঠালের ফলদ ও বৃক্ষের গাছের চারা এনে দেই। সেগুলো বাবা সন্তানের মতোই পরিচর্যা করে আসছেন। খুব খারাপ লাগে তখন বাবা যখন কাটা গাছগুলো ধরে সন্তান হারার মতো হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।

এ বিষয়ে মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, কারা কখন এ গাছগুলো কেটেছে তা দেখিনি। তবে বাড়ির সামনে একটি পাকা ভিটি দোকান ঘর নির্মান করি, যা এখনো চালু করা হয়নি। ওই দোকান ঘরে একদল বখাটে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা মারত। জুয়া খেলত, মাদক সেবন করত, তাদের বাঁধা দেই, দোকান ছেড়ে চলে যেতে বলি। ওরা আমার কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে হুমকী দিয়ে যায়। ওই কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওরা এ কাজটি করতে পারে বলে সন্দেহ করলেও মামলা করে আর বিপদে পড়তে চাইনা।