০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী নারীর জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি কুমিল্লায় সবুজের স্বপ্নপুরিতে টিফিনের টাকায় ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ কুমিল্লায় নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর কুবিতে হাল্ট প্রাইজের নতুন আয়োজক কমিটি ঘোষণা কুমিল্লায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার কুমিল্লায় অপহরণের ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি একমাত্র ছেলে, বাকরুদ্ধ বাবা-মা বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনায় কুমিল্লায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত বুড়িচংয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন মুরাদনগরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার ইকবালকে কুমিল্লায় এনে জ্ঞিাসাবাদ করছে পুলিশ

  • তারিখ : ০৩:০৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১
  • 20

নেকবর হোসেন।।
পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনকে কড়া পাহারায় কুমিল্লায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কুমিল্লা আনার পর তাকে পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়।

ইকবালকে আনার খবরে সকাল থেকেই গণমাধ্যম কর্মীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও পুলিশ লাইন্সের গেটে অবস্থান নেন।

পরে সাংবাদিকদের অনুরোধে সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শুধু ফটো ও ভিডিও ধারনের জন্য সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। এ সময় তার মাথায় হেমলেট ও শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ইকবালকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে এটা কখন করা হবে এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি।

এর আগে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ইকবালকে আনতে কক্সবাজার যায়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে জেলা পুলিশের এ টিম ইকবালকে কুমিল্লায় আনতে রওনা দিয়ে ভোরে কক্সবাজার পৌঁছায়। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে নিয়ে শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে কুমিল্লার পথে যাত্রা শুরু করে পুলিশের ওই টিম।

কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে ঘটনার পর থেকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের সমুদ সৈকত থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ইকবালকে আনা হয়েছে। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা সিসিটিভিতে যে ইকবালকে শনাক্ত করে ছিলাম এটা সেই ইকবাল। গত ১৩ অক্টোবর ভোর রাতে নগরীর নানুয়া দীঘির পাড় এলাকার একটি পুজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখেছিল এই ইকবাল।

পুলিশ সুপার জানান, পূজামণ্ডের ঘটনায় কুমিল্লা নগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পড়ে সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে ইকবালই পাশের দারোগাবাড়ি মসজারের মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে গভীররাতে মণ্ডপে রাখেন।

error: Content is protected !!

পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার ইকবালকে কুমিল্লায় এনে জ্ঞিাসাবাদ করছে পুলিশ

তারিখ : ০৩:০৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

নেকবর হোসেন।।
পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনকে কড়া পাহারায় কুমিল্লায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কুমিল্লা আনার পর তাকে পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়।

ইকবালকে আনার খবরে সকাল থেকেই গণমাধ্যম কর্মীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও পুলিশ লাইন্সের গেটে অবস্থান নেন।

পরে সাংবাদিকদের অনুরোধে সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শুধু ফটো ও ভিডিও ধারনের জন্য সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। এ সময় তার মাথায় হেমলেট ও শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ইকবালকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে এটা কখন করা হবে এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি।

এর আগে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ইকবালকে আনতে কক্সবাজার যায়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে জেলা পুলিশের এ টিম ইকবালকে কুমিল্লায় আনতে রওনা দিয়ে ভোরে কক্সবাজার পৌঁছায়। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে নিয়ে শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে কুমিল্লার পথে যাত্রা শুরু করে পুলিশের ওই টিম।

কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে ঘটনার পর থেকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের সমুদ সৈকত থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ইকবালকে আনা হয়েছে। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা সিসিটিভিতে যে ইকবালকে শনাক্ত করে ছিলাম এটা সেই ইকবাল। গত ১৩ অক্টোবর ভোর রাতে নগরীর নানুয়া দীঘির পাড় এলাকার একটি পুজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখেছিল এই ইকবাল।

পুলিশ সুপার জানান, পূজামণ্ডের ঘটনায় কুমিল্লা নগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পড়ে সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে ইকবালই পাশের দারোগাবাড়ি মসজারের মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে গভীররাতে মণ্ডপে রাখেন।