০৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ, প্রধান আসামি বাবু গ্রেফতার মুরাদনগরে ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত কুমিল্লা মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সভায় নতুন কমিটি গঠন গৌরসার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায় দিলেন এলাকাবাসী কুমিল্লায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও গণজুতা নিক্ষেপ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি উন্মুক্তের দাবিতে ছাত্রদলের স্মারকলিপি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্র তুহিন হত্যার এক আসামি গ্রেফতার প্রাকৃতিক গ্যাসের উপজেলা মুরাদনগর: ১০ ভাগ পরিবারেরই নেই গ্যাস সংযোগ আন্তর্জাতিক নির্যাতিত সাংবাদিক দিবসে কুমিল্লায় নির্যাতিত সাংবাদিকদের সম্মাননা কুমিল্লায় বিয়ের এক মাস না যেতেই লরির নিচে পিষ্ট হয়ে প্রবাসীর মৃত্যু

মুরাদনগরে মাহফিল চলাকালে পীরের ছেলেকে মারধর

  • তারিখ : ০৫:০৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • 27

মনির খাঁন, মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের প্রয়াত পীর আবু বকর মোহাম্মদ সামছুল হুদার চতুর্থ ছেলে শরফ উদ্দিন মোহাম্মদ হাসান পীর সাহেবকে মারধর করা হয়েছে। রোববার রাতে ওই দরবারের মাহফিল চলাকালে তাকে মারধর করে স্টেজ থেকে বের করে দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে ভূক্তভোগী পীর হাসান কর্তৃক বাঙ্গরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। হামলায় অভিযুক্তরা হলেন, মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান(৪৬), সানাউল্লাহ(৫৫), আহাম্মদ শিকদার(২৩), হোসাইন আহম্মেদ(২৪), জাহিদুল ইসলাম ওরফে ফাহিম(১৯), আব্দুস সাত্তার(২৫)।

অভিযোগে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবারের প্রয়াত পীর আবু বকর মোহাম্মদ সামছুল হুদার মৃত্যু হয়। এরপর ৭ ছেলের মধ্যে বড় হিসেবে দরবারের দায়িত্বভার নেন মাহমুদুর রহমান। নিয়মানুসারে দরবার পরিচালনায় ভাইদের মতামত এবং পিতার অংশিদারিত্ব যথাযথভাবে বন্টন করার কথা থাকলেও বর্তমান পীর এসব উপেক্ষা করে কতিপয় লোকজন নিয়ে আলাদা বলয় তৈরী করে আপন ভাইদেরকে কোনঠাসায় রাখছেন। এতে দরবারের খেলাফতের হিস্যা এবং পিতার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রয়াত পীরের সন্তানেরা।

অভিযোগকারী হাসান বলেন, প্রতিবছর মাহফিল থেকে ১০-১২ কোটি টাকা আয় হয়। দায়িত্বরত ওই পীর দরবারের নামে অর্জিত বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে নিজের নামে ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে অডেল সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন। কৌশলে ভাইদেরকে উপেক্ষা এবং বঞ্চিত করে নিজ সন্তানদেরকে দরবারের উত্তরসুরী বানানোর পায়তারা করছেন।

এরই মাঝে ভাইদেরকে পৈতৃক সম্পত্তি এবং দরবারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে ওই পীরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতিবছরের ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারী ওই দরবারের বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রেওয়াজ অনুসারে বাদ মাগরিব আলোচনা ও মাহফিলে ওই দরবারের সকল উত্তরসুরী স্টেজে থাকবেন এবং মুরিদানদেরকে নসিহত করবেন। কিন্তু রোববার সন্ধ্যায় পীরের আপন ছোট ভাই শরফ উদ্দিন মোহাম্মদ হাসান মাহফিলের স্টেজে উঠলে পীর এবং তার বহিরাগত সহযোগীরা তাকে মারধর করে স্টেজ থেকে বের করে দেয়। এ সময় তাকে নিজ বাড়ীতে তালাবদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ করা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাহমুদুর রহমান বলেন, বহিরাগত কিছু লোকের ইন্দনে আমার ছোট ভাই হাসান পরিবার এবং দরবারের সুনাম ক্ষুন্নের কাজে লিপ্ত রয়েছে। আমরা তাকে কোন মারধর করিনি।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শরফ উদ্দিন মোহাম্মদ হাসান নামে একজন সোনাকান্দা পীরসহ ৬জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

error: Content is protected !!

মুরাদনগরে মাহফিল চলাকালে পীরের ছেলেকে মারধর

তারিখ : ০৫:০৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মনির খাঁন, মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের প্রয়াত পীর আবু বকর মোহাম্মদ সামছুল হুদার চতুর্থ ছেলে শরফ উদ্দিন মোহাম্মদ হাসান পীর সাহেবকে মারধর করা হয়েছে। রোববার রাতে ওই দরবারের মাহফিল চলাকালে তাকে মারধর করে স্টেজ থেকে বের করে দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে ভূক্তভোগী পীর হাসান কর্তৃক বাঙ্গরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। হামলায় অভিযুক্তরা হলেন, মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান(৪৬), সানাউল্লাহ(৫৫), আহাম্মদ শিকদার(২৩), হোসাইন আহম্মেদ(২৪), জাহিদুল ইসলাম ওরফে ফাহিম(১৯), আব্দুস সাত্তার(২৫)।

অভিযোগে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবারের প্রয়াত পীর আবু বকর মোহাম্মদ সামছুল হুদার মৃত্যু হয়। এরপর ৭ ছেলের মধ্যে বড় হিসেবে দরবারের দায়িত্বভার নেন মাহমুদুর রহমান। নিয়মানুসারে দরবার পরিচালনায় ভাইদের মতামত এবং পিতার অংশিদারিত্ব যথাযথভাবে বন্টন করার কথা থাকলেও বর্তমান পীর এসব উপেক্ষা করে কতিপয় লোকজন নিয়ে আলাদা বলয় তৈরী করে আপন ভাইদেরকে কোনঠাসায় রাখছেন। এতে দরবারের খেলাফতের হিস্যা এবং পিতার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রয়াত পীরের সন্তানেরা।

অভিযোগকারী হাসান বলেন, প্রতিবছর মাহফিল থেকে ১০-১২ কোটি টাকা আয় হয়। দায়িত্বরত ওই পীর দরবারের নামে অর্জিত বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে নিজের নামে ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে অডেল সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন। কৌশলে ভাইদেরকে উপেক্ষা এবং বঞ্চিত করে নিজ সন্তানদেরকে দরবারের উত্তরসুরী বানানোর পায়তারা করছেন।

এরই মাঝে ভাইদেরকে পৈতৃক সম্পত্তি এবং দরবারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে ওই পীরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতিবছরের ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারী ওই দরবারের বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রেওয়াজ অনুসারে বাদ মাগরিব আলোচনা ও মাহফিলে ওই দরবারের সকল উত্তরসুরী স্টেজে থাকবেন এবং মুরিদানদেরকে নসিহত করবেন। কিন্তু রোববার সন্ধ্যায় পীরের আপন ছোট ভাই শরফ উদ্দিন মোহাম্মদ হাসান মাহফিলের স্টেজে উঠলে পীর এবং তার বহিরাগত সহযোগীরা তাকে মারধর করে স্টেজ থেকে বের করে দেয়। এ সময় তাকে নিজ বাড়ীতে তালাবদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ করা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাহমুদুর রহমান বলেন, বহিরাগত কিছু লোকের ইন্দনে আমার ছোট ভাই হাসান পরিবার এবং দরবারের সুনাম ক্ষুন্নের কাজে লিপ্ত রয়েছে। আমরা তাকে কোন মারধর করিনি।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শরফ উদ্দিন মোহাম্মদ হাসান নামে একজন সোনাকান্দা পীরসহ ৬জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।