০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে বিএনপির সভাপতির নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার; তীব্র নিন্দা কুবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলায় জড়িতদের তথ্য চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হোমনায় চার দিন ধরে নিখোঁজ সাংবাদিক দিদার, পরিবারের সন্দেহ অপহরণ বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন কুমিল্লায় ৩ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বিক্রি; তিনদিন ধরে ধর্ষণ, নোয়াখালীর ৫ যুবক গ্রেফতার বাজগড্ডায় জিকরুল্লাহ ইসলামিয়া যুব কমিটির উদ্যোগে ঈদে মাজিউন্নাবী (সা.) মাহফিল শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিনকে কুমিল্লায় ফুলেল সংবর্ধনা চৌদ্দগ্রামে তুলাপুষ্কুরণী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা আলী হোসেন সজিব বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই ৩১ দফার মূল লক্ষ্য -হাজী ইয়াছিন

মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাউন্সিলর সোহেলের শরীরে ৯ টি গুলি চালায় হত্যাকারীরা

  • তারিখ : ১১:৫৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • 18

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বুকে ও মাথায় ৯টি গুলি লাগে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের মাথায়, বুকের ডান পাশে, বাম চোখের নিচেসহ বিভিন্ন স্থানে ৯টি গুলি লাগে। সন্ধ্যার আগে যখন কাউন্সিলরকে হাসপাতালে নেয়া হয়, তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের একটি মেডিক্যাল টিম কাউন্সিলরকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আমরা তাকে রাত ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করি। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে।’

হাসপাতালের পরিচালক বলেন, হরিপদ সাহার পেটের বাম পাশে গুলি লাগে। তার মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।

নিহত সোহেল মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য। গুলিতে আরো অন্তত ৭ জন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সুজানগরের এডভোকেট সোহেল চৌধুরী, দ্বিতীয় মুরাদপুরের মাজেদুল হক বাদল, পাথুরীয়া পাড়ার মোঃ রিজু, খোরেশদ মিয়া, জুয়েল মিয়া, আবদুল জলিল ও হরিপদ সাহা।

স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।

হামলায় আহত জুয়েল বলেন, আওয়াজ শুনে রাস্তায় বের হয়ে দেখি সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে। তারপর আমি মাটিতে লুটিয়ে পরি।

কাউন্সিলর সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ জানান, সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচÐ গোলাগুলির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।

কাউন্সিলর সোহেলের গাড়ী চালক আনিসুর রহমান মিঠু জানান, গুলির শব্দ শুনে আমার গিয়ে দেখি সোহেল ভাই মাটিতে পরে আছে। আমরা অটোরিক্সা প্রথমে মা-মনি হাসপাতাল ও পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।

error: Content is protected !!

মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাউন্সিলর সোহেলের শরীরে ৯ টি গুলি চালায় হত্যাকারীরা

তারিখ : ১১:৫৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বুকে ও মাথায় ৯টি গুলি লাগে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের মাথায়, বুকের ডান পাশে, বাম চোখের নিচেসহ বিভিন্ন স্থানে ৯টি গুলি লাগে। সন্ধ্যার আগে যখন কাউন্সিলরকে হাসপাতালে নেয়া হয়, তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের একটি মেডিক্যাল টিম কাউন্সিলরকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আমরা তাকে রাত ৮টার দিকে মৃত ঘোষণা করি। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে।’

হাসপাতালের পরিচালক বলেন, হরিপদ সাহার পেটের বাম পাশে গুলি লাগে। তার মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।

নিহত সোহেল মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য। গুলিতে আরো অন্তত ৭ জন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সুজানগরের এডভোকেট সোহেল চৌধুরী, দ্বিতীয় মুরাদপুরের মাজেদুল হক বাদল, পাথুরীয়া পাড়ার মোঃ রিজু, খোরেশদ মিয়া, জুয়েল মিয়া, আবদুল জলিল ও হরিপদ সাহা।

স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।

হামলায় আহত জুয়েল বলেন, আওয়াজ শুনে রাস্তায় বের হয়ে দেখি সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে। তারপর আমি মাটিতে লুটিয়ে পরি।

কাউন্সিলর সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ জানান, সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচÐ গোলাগুলির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।

কাউন্সিলর সোহেলের গাড়ী চালক আনিসুর রহমান মিঠু জানান, গুলির শব্দ শুনে আমার গিয়ে দেখি সোহেল ভাই মাটিতে পরে আছে। আমরা অটোরিক্সা প্রথমে মা-মনি হাসপাতাল ও পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।