০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোমনার জয়পুরে শিক্ষিকার উপর একদল বখাটের হামলা

  • তারিখ : ১০:০০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • 356

সোনিয়া আফরিন।।
কুমিল্লার হোমনার জয়পুরে এক কিন্ডার গার্টেন শিক্ষার উপর অতর্কিতে হামলা চালায় একদল বখাটে যুবক। এসময় ওই শিক্ষিকা বাড়িতে একা পেয়ে গায়ের জামা-কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি ও গণধর্ষণের চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাকে উদ্ধার করে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে। গত রোববার সকালে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের অনন্তপুর-দড়িকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। থানায় অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যান আজ মঙ্গলবার। তদন্ত শেষে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথেই বখাটের দল ফের প্রকাশ্যে হামলা চালায় এবং তাদের পরিবারের লোকজন দালালদের সহযোগিতায় থানায় কাউন্টার মিথ্যা মামলার জন্য তদবির করতে দেখা যায়।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সকালে ওই শিক্ষিকাকে চুলায় দুধ গরম করতে আগুন জ্বালায়। এমন সময় দড়িকান্দি গ্রামের ইমন শিমন ও আলমগীরের নেতৃত্বে ৬জন হামলা চালায়। এসময় তাদের চকের বাড়িতে আর কেউ না থাকায় ৬ লম্পট তাকে গণধর্ষণের চেষ্টা করে পড়নের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।

এসময় শিক্ষিকা শোর চিৎকার শুরু করলে চুলা থেকে দুধের হাড়ি তুলে চোখে-মুখে ঢেলে দেয়। তবে দুধ তেমন গরম না হওয়ায় চেহারা ঝলসে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। পরে স্বজনরা এসে আহত ওই শিক্ষিকা হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়।

এ ঘটনায় শিক্ষিকা বাদী হয়ে গত সোমবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে একই গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে বেদন মিয়া, মো. বাসার মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া, রাকিব ও শিমন মিয়া, মো.রব মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন, ও সুলতান মিয়ার ছেলে নূরনবীর নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

ভূক্তভোগী শিক্ষিকা জানান, গত রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আমি রান্নাঘরে রান্না করতে ছিলাম। এ সময় আমার প্রতিবেশী বেদন মিয়া, ইমন মিয়া, শিমন মিয়া, আলমগীর হোসেন, নুরনবী ও রাকিব মিয়া ঘরে প্রবেশ করে আমাকে একা পেয়ে খারাপ উদ্দেশ্যে তারা পিছন দিক থেকে আমাকে ঝাপটে ধরে আমার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এতে বাধা দিলে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা আমার পরনের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি করে ও আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে হোমনা থানার ওসি (তদন্ত) মো.আমিনুর রসুল বলেন, শিক্ষিকার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

error: Content is protected !!

হোমনার জয়পুরে শিক্ষিকার উপর একদল বখাটের হামলা

তারিখ : ১০:০০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

সোনিয়া আফরিন।।
কুমিল্লার হোমনার জয়পুরে এক কিন্ডার গার্টেন শিক্ষার উপর অতর্কিতে হামলা চালায় একদল বখাটে যুবক। এসময় ওই শিক্ষিকা বাড়িতে একা পেয়ে গায়ের জামা-কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি ও গণধর্ষণের চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাকে উদ্ধার করে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে। গত রোববার সকালে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের অনন্তপুর-দড়িকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। থানায় অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যান আজ মঙ্গলবার। তদন্ত শেষে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথেই বখাটের দল ফের প্রকাশ্যে হামলা চালায় এবং তাদের পরিবারের লোকজন দালালদের সহযোগিতায় থানায় কাউন্টার মিথ্যা মামলার জন্য তদবির করতে দেখা যায়।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সকালে ওই শিক্ষিকাকে চুলায় দুধ গরম করতে আগুন জ্বালায়। এমন সময় দড়িকান্দি গ্রামের ইমন শিমন ও আলমগীরের নেতৃত্বে ৬জন হামলা চালায়। এসময় তাদের চকের বাড়িতে আর কেউ না থাকায় ৬ লম্পট তাকে গণধর্ষণের চেষ্টা করে পড়নের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।

এসময় শিক্ষিকা শোর চিৎকার শুরু করলে চুলা থেকে দুধের হাড়ি তুলে চোখে-মুখে ঢেলে দেয়। তবে দুধ তেমন গরম না হওয়ায় চেহারা ঝলসে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। পরে স্বজনরা এসে আহত ওই শিক্ষিকা হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়।

এ ঘটনায় শিক্ষিকা বাদী হয়ে গত সোমবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে একই গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে বেদন মিয়া, মো. বাসার মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া, রাকিব ও শিমন মিয়া, মো.রব মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন, ও সুলতান মিয়ার ছেলে নূরনবীর নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

ভূক্তভোগী শিক্ষিকা জানান, গত রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আমি রান্নাঘরে রান্না করতে ছিলাম। এ সময় আমার প্রতিবেশী বেদন মিয়া, ইমন মিয়া, শিমন মিয়া, আলমগীর হোসেন, নুরনবী ও রাকিব মিয়া ঘরে প্রবেশ করে আমাকে একা পেয়ে খারাপ উদ্দেশ্যে তারা পিছন দিক থেকে আমাকে ঝাপটে ধরে আমার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এতে বাধা দিলে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা আমার পরনের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি করে ও আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে হোমনা থানার ওসি (তদন্ত) মো.আমিনুর রসুল বলেন, শিক্ষিকার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।