কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া বাদী পক্ষের রিমান্ডের আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়। কুমিল্লার চান্দিনায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর ওপর গুলি করে আহত করার মামলায় আদালতে জামিন চান তিনি।
আজ রোববার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৭ এ ড. রেদোয়ান আহমেদের জামিনের আবেদন করেন তাঁর পক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে গত ২৪ মে জেলা জজ আদালত থেকেও জামিন পাননি সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজালাল মিঞা শিপন জানান, ‘ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রোগ্রামে ড. রেদোয়ান আহমেদ হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত ভাবে গুলি চালান। আমরা আদালত জামিনের বিরোধিতা করে বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। আদালত আমাদের যুক্তি-তর্ক আমলে নিয়ে রেদোয়ান আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করেন।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমরা জামিন আবেদনের পাশাপাশি রিমান্ড আবেদন বাতিলের আবেদন করি। আদালত রিমান্ড ও জামিন বাতিল করেন।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে (সোমবার) বিকেল ৪টায় চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ মমতাজ আহমেদ ভবনে কলেজ ছাত্রলীগ ও পৌর এলডিপি পাল্টাপাল্টি ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেন। দুপুর ১টার পর থেকে ছাত্রলীগের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হতে শুরু করে। দুপুর আড়াইটায় এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ প্রধান ফটকের সামনে গেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা হয়।
এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ একই স্থানে এলডিপির প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করেন এবং ছাত্রলীগও প্রোগ্রাম করবেন না বলে জানান। এ সময় তিনি গাড়ি নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কোনো এক ছাত্রলীগ কর্মীরা রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে তরমুজ দিয়ে ঢিল ছোড়ে। এ সময় রেদোয়ান আহমেদ গাড়ির জানালা খুলে পরপর দুইটি গুলি করেন। এতে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page