০১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব নিহত বুড়িচংয়ে হুইলচেয়ার, সেলাই মেশিন ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করলেন ড. মোবারক হোসেন ধানের শীষের প্রার্থী ড. মোশাররফ হোসেনের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ শুরু দাউদকান্দিতে নিসচা’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার : ৯ আসামি গ্রেফতার কুমিল্লা ইপিজেডে বকেয়া বেতনের দাবিতে নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ কুমিল্লায় টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি; দুই ঘণ্টা সেবা বন্ধ নবগঠিত বুড়িচং পৌরসভার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন : পিআরএ কর্মশালা অনুষ্ঠিত জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিকদের স্বাধীন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হবে: ড. মোবারক হোসেন

কক্সবাজারে তিন বন্ধুর কাছে যেভাবে ধরা পড়লো ইকবাল

  • তারিখ : ১০:১৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১
  • 36

নেকবর হোসেন।।
কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া কয়েক তরুণের সঙ্গে গানে গলা মিলিয়ে ধরা পড়েছেন কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার পুলিশ ইকবালকে গ্রেফতার করে।

ছাত্রলীগ কর্মী ও চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের মাস্টার্সের ছাত্র অনিক রহমান দাবি করেন, আমি, বন্ধু মেহেদী হাসান মিশু ও সাইফুল ইসলাম সাইফ মিলে ইকবালকে ধরিয়ে দিয়েছি।

ওই তিন জনকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান।

এদিকে ছাত্রলীগ কর্মীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা ও কক্সবাজার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইকবালকে ধরা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর (বেগমগঞ্জ সার্কেল) এএসপি শাহ ইমরান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ কর্মী অনিক ও মিশু আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ইকবালের তথ্য দেন। তারা ইকবালকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা চান। পরে আমি কুমিল্লা ও কক্সবাজারের পুলিশের সঙ্গে ইকবালকে গ্রেফতারের জন্য যোগাযোগ করি।

ইকবালকে গ্রেফতারের ঘটনা বলতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী অনিক বলেন, ১৯ অক্টোবর সোমবার রাতে বন্ধু মেহেদি হাসান মিশু ও ঢাকার তিন ব্যবসায়ী বন্ধু রায়হান, মামুন ও হৃদয়সহ পাঁচ জন কক্সবাজারে বেড়াতে যাই। ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে থাকা আরেক বন্ধু সাইফুল ইসলাম সাইফ আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। এরপর বিকাল ৪টায় দরিয়ানগরে ঘুরতে বের হই। সেখানে ছয় বন্ধু মিলে সময় কাটাতে গান গাওয়ার সময় ইকবালও পাশে এসে গানে সুর মেলায়। এরপর ওই রাতে টেলিভিশনে এবং ফেসবুকে ছবি দেখে ইকবালের বিষয়ে নিশ্চিত হই।

এস এ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান মিশু বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তারা সুগন্ধা পয়েন্টে গেলে ইকবালের সঙ্গে তাদের আবার দেখা হয়। তখন আমরা তার সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলি। একপর্যায়ে সে পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে নাশতা ও সিগারেট খাইয়ে কৌশলে আটকে রাখি। এ সময় তার নাম জানতে চাইলে সে ইকবাল বলে জানায়। তখন আমরা কৌশলে তার ছবি তুলে নোয়াখালীর এএসপির সঙ্গে যোগাযোগ করি ও ছবি পাঠাই। তিনি আমাদের কুমিল্লার পুলিশ সুপারের মোবাইল নম্বর দেন। এরপর কুমিল্লার পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছবি পাঠাই। তিনি কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ এসে ইকবালকে আটক করে নিয়ে যায়।

এর আগে, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের কাছে আসে। সেখানে দেখা যায়, অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মসজিদ থেকে কীভাবে কোরআন নিয়ে বের হয়ে পূজামণ্ডপের দিকে যান এবং মণ্ডপ থেকে হনুমানের গদা হাতে নিয়ে ফেরেন।

error: Content is protected !!

কক্সবাজারে তিন বন্ধুর কাছে যেভাবে ধরা পড়লো ইকবাল

তারিখ : ১০:১৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

নেকবর হোসেন।।
কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া কয়েক তরুণের সঙ্গে গানে গলা মিলিয়ে ধরা পড়েছেন কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার পুলিশ ইকবালকে গ্রেফতার করে।

ছাত্রলীগ কর্মী ও চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের মাস্টার্সের ছাত্র অনিক রহমান দাবি করেন, আমি, বন্ধু মেহেদী হাসান মিশু ও সাইফুল ইসলাম সাইফ মিলে ইকবালকে ধরিয়ে দিয়েছি।

ওই তিন জনকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান।

এদিকে ছাত্রলীগ কর্মীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা ও কক্সবাজার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইকবালকে ধরা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর (বেগমগঞ্জ সার্কেল) এএসপি শাহ ইমরান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ কর্মী অনিক ও মিশু আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ইকবালের তথ্য দেন। তারা ইকবালকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা চান। পরে আমি কুমিল্লা ও কক্সবাজারের পুলিশের সঙ্গে ইকবালকে গ্রেফতারের জন্য যোগাযোগ করি।

ইকবালকে গ্রেফতারের ঘটনা বলতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী অনিক বলেন, ১৯ অক্টোবর সোমবার রাতে বন্ধু মেহেদি হাসান মিশু ও ঢাকার তিন ব্যবসায়ী বন্ধু রায়হান, মামুন ও হৃদয়সহ পাঁচ জন কক্সবাজারে বেড়াতে যাই। ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে থাকা আরেক বন্ধু সাইফুল ইসলাম সাইফ আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। এরপর বিকাল ৪টায় দরিয়ানগরে ঘুরতে বের হই। সেখানে ছয় বন্ধু মিলে সময় কাটাতে গান গাওয়ার সময় ইকবালও পাশে এসে গানে সুর মেলায়। এরপর ওই রাতে টেলিভিশনে এবং ফেসবুকে ছবি দেখে ইকবালের বিষয়ে নিশ্চিত হই।

এস এ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান মিশু বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তারা সুগন্ধা পয়েন্টে গেলে ইকবালের সঙ্গে তাদের আবার দেখা হয়। তখন আমরা তার সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলি। একপর্যায়ে সে পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে নাশতা ও সিগারেট খাইয়ে কৌশলে আটকে রাখি। এ সময় তার নাম জানতে চাইলে সে ইকবাল বলে জানায়। তখন আমরা কৌশলে তার ছবি তুলে নোয়াখালীর এএসপির সঙ্গে যোগাযোগ করি ও ছবি পাঠাই। তিনি আমাদের কুমিল্লার পুলিশ সুপারের মোবাইল নম্বর দেন। এরপর কুমিল্লার পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছবি পাঠাই। তিনি কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ এসে ইকবালকে আটক করে নিয়ে যায়।

এর আগে, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের কাছে আসে। সেখানে দেখা যায়, অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মসজিদ থেকে কীভাবে কোরআন নিয়ে বের হয়ে পূজামণ্ডপের দিকে যান এবং মণ্ডপ থেকে হনুমানের গদা হাতে নিয়ে ফেরেন।