০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাটি বিক্রেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভেকু জব্দ কুমিল্লা স্টেডিয়াম এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার আ’লীগের হামলায় আহত মহিলাদল নেত্রীকে দেখতে কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ খেলাধুলা যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে -সফিকুর রহমান বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ইটভাটা উচ্ছেদ জয়পুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৬১ তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী শামীম গ্রেপ্তার জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন- ড. ইমরান আনসারী কোনো ষড়যন্ত্রই কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধন ভাঙতে পারবে না-হাজী ইয়াছিন

কুবিতে মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

  • তারিখ : ০৫:২১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • 91

বি এম ফয়সাল, কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৮ মে) উপাচার্যের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার পর ভর্তি ফি বৃদ্ধি এবং মাইগ্রেশন ফি আদায় করছে। কয়েকটি বিভাগে ভর্তি ফি প্রায় ২২,০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়াও মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি দিতে হচ্ছে। এতে একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য ভর্তি ফির পরবর্তী মাইগ্রেশন ফি একটি অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ভর্তি শেষে মাইগ্রেশন ফি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে।

‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক হান্নান রাহিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক শিক্ষার্থী এসব বিড়ম্বনার কারণে মাইগ্রেশনই করতে চায় না। এ অবস্থায় বিভাগ কিংবা ক্লাবভিত্তিক অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ এক ধরনের জুলুম। আমরা এই জুলুমের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়েছি। বিভাগেরা মাইগ্রেশনে আর কোনো আলাদা টাকা নিতে পারবে না। ভিসি স্যার একদিন সময় নিয়েছেন, কালকের মধ্যেই এর সমাধান চাই।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোজ্জাম্মেল হোসাইন আবির বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের ২০–২২ হাজার টাকা দিতে হয়, যা অনেক পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা কঠিন। ভর্তির পর মাইগ্রেশনের ফলে আগের বিভাগের ফি ফেরত না দিয়ে নতুন বিভাগে আবার ৭–৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়—এটি এক ধরনের বৈষম্য। হলে সিট না পাওয়ায় মেসের খরচও যুক্ত হয়, ফলে পরিবারগুলো মারাত্মক আর্থিক চাপে পড়ে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, এই অর্থনৈতিক বোঝা লাঘবে পদক্ষেপ নিতে। যদি যৌক্তিক দাবি মানা না হয়, তবে কুবিয়ানরা জানে কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়।”

ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম ভূঁইয়া বলেন, “গত কয়েক বছর গুচ্ছভুক্ত থাকার কারণে আমরা অনেক কিছু করতে পারিনি। গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার পর এবার আমরা যৌক্তিক দাবি তুলে ধরছি। মাইগ্রেশনের ফলে শিক্ষার্থীদের বারবার ফি দিতে হয়, যা আর্থিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। আমরা দাবি করেছি, শুধুমাত্র চূড়ান্ত বিভাগে ফি প্রদান করতে হবে। ভিসি স্যার আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবস্থা নেবেন। আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব; সঠিক জবাব না পেলে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।”

error: Content is protected !!

কুবিতে মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

তারিখ : ০৫:২১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

বি এম ফয়সাল, কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৮ মে) উপাচার্যের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার পর ভর্তি ফি বৃদ্ধি এবং মাইগ্রেশন ফি আদায় করছে। কয়েকটি বিভাগে ভর্তি ফি প্রায় ২২,০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়াও মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি দিতে হচ্ছে। এতে একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য ভর্তি ফির পরবর্তী মাইগ্রেশন ফি একটি অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ভর্তি শেষে মাইগ্রেশন ফি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে।

‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক হান্নান রাহিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক শিক্ষার্থী এসব বিড়ম্বনার কারণে মাইগ্রেশনই করতে চায় না। এ অবস্থায় বিভাগ কিংবা ক্লাবভিত্তিক অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ এক ধরনের জুলুম। আমরা এই জুলুমের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়েছি। বিভাগেরা মাইগ্রেশনে আর কোনো আলাদা টাকা নিতে পারবে না। ভিসি স্যার একদিন সময় নিয়েছেন, কালকের মধ্যেই এর সমাধান চাই।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোজ্জাম্মেল হোসাইন আবির বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের ২০–২২ হাজার টাকা দিতে হয়, যা অনেক পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা কঠিন। ভর্তির পর মাইগ্রেশনের ফলে আগের বিভাগের ফি ফেরত না দিয়ে নতুন বিভাগে আবার ৭–৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়—এটি এক ধরনের বৈষম্য। হলে সিট না পাওয়ায় মেসের খরচও যুক্ত হয়, ফলে পরিবারগুলো মারাত্মক আর্থিক চাপে পড়ে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, এই অর্থনৈতিক বোঝা লাঘবে পদক্ষেপ নিতে। যদি যৌক্তিক দাবি মানা না হয়, তবে কুবিয়ানরা জানে কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়।”

ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম ভূঁইয়া বলেন, “গত কয়েক বছর গুচ্ছভুক্ত থাকার কারণে আমরা অনেক কিছু করতে পারিনি। গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার পর এবার আমরা যৌক্তিক দাবি তুলে ধরছি। মাইগ্রেশনের ফলে শিক্ষার্থীদের বারবার ফি দিতে হয়, যা আর্থিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। আমরা দাবি করেছি, শুধুমাত্র চূড়ান্ত বিভাগে ফি প্রদান করতে হবে। ভিসি স্যার আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবস্থা নেবেন। আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব; সঠিক জবাব না পেলে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।”