
স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কোতয়ালী থানাধীন ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কালিকাপুর মৌজায় অবস্থিত পরিবেশ ধ্বংসকারী মেসার্স বিএমবি ব্রিকস এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ অক্টোবর ২০২৫) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে আগামী ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা হাইকোর্টকে অবহিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধনী ২০১৯) এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর বিধি লঙ্ঘন করে কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই বিএমবি ব্রিকস অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করছে। এতে আশপাশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বসতবাড়ির পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন এডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি জানান, স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রবাসী ইউকে নাগরিক কাজী আল মামুনসহ অনেকে বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযোগ জানালেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রয়োগ শাখার পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং মেসার্স বিএমবি ব্রিকসের প্রোপ্রাইটর মো. আজাদ হোসেনকে।
হাইকোর্টের এ নির্দেশনায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা দ্রুত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা আশা করছেন।