০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুবিতে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলনের অ্যাবস্ট্রাক্ট জমাদানের সময়সীমা বৃদ্ধি শিক্ষক সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় ফের অস্থিরতায় কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুল তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কুবির শিক্ষক–শিক্ষার্থী বিনিময় চুক্তি, নেই টিউশন ফি বেগম জিয়ার আরোগ্য কামনায় হাজী ইয়াছিনের ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী সমন্বয় সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা প্রদান জীবনের বাকি সময়টা কুমিল্লা-৬ আসনের নেতাকর্মীদের সঙ্গেই থাকতে চাই -হাজী ইয়াছিন বুড়িচংয়ে যৌতুকের দাবিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ; আটক ২ কুবির দত্ত হলে প্রথমবারের মতো আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন সংবাদ প্রকাশে নির্ভীক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক যুগ

কুমিল্লায় ঘুষ–তদবির ছাড়াই নিয়োগ পেলেন ৪৭ কনস্টেবল

  • তারিখ : ০৭:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • 830

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় কোনো ঘুষ, তদবির বা হয়রানি ছাড়াই ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে ৪৭ জনের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নাজির আহমেদ খান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪৫ জন সাধারণ কোটায়, একজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং একজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিকেলে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সের শহীদ আরআই এবিএম আবদুল হালিম মিনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বরণ করে নেয় জেলা পুলিশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ মো. গাউছাল আজম ও চাঁদপুর হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকুল চাকমা।

এসপি নাজির আহমেদ খান বলেন, “ঘুষ ছাড়া নিয়োগ দেওয়া সম্ভব, আমরা সেটিই প্রমাণ করেছি। এখানে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, তারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।”

চলতি বছরের জুন মাসে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স মাঠে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মোট আবেদন পড়ে এক হাজার ৮৯১টি। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৬৩৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪৭ জন। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় মোট ৭৫ জন নির্বাচিত হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পান ৪৭ জন।

নিয়োগ পাওয়া কুমিল্লা সদর দক্ষিণের তরুণ এমরান হোসেন বলেন, “কোনো টাকা লাগে নাই, কেউ চাইও নাই। দালালের খপ্পরে পড়ি নাই। বাবা–মায়ের দোয়ায় আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ বদলাচ্ছে।”

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সজিব বলেন, “এখন বিশ্বাস হচ্ছে, যোগ্যতা থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে সবাই অবাক!”

চাকরি পাওয়া এমরান হোসেনের বাবা, সদর দক্ষিণ রামপুর গ্রামের সিএনজি চালক মো. এরশাদ মিয়া বলেন, “ছেলের চাকরির জন্য বাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবছিলাম। আল্লাহর রহমতে কিছুই লাগে নাই, শুধু পরিশ্রম আর প্রার্থনা।”

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ঘুষ–তদবির ছাড়াই নিয়োগ পেলেন ৪৭ কনস্টেবল

তারিখ : ০৭:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় কোনো ঘুষ, তদবির বা হয়রানি ছাড়াই ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে ৪৭ জনের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নাজির আহমেদ খান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪৫ জন সাধারণ কোটায়, একজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং একজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিকেলে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সের শহীদ আরআই এবিএম আবদুল হালিম মিনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বরণ করে নেয় জেলা পুলিশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ মো. গাউছাল আজম ও চাঁদপুর হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকুল চাকমা।

এসপি নাজির আহমেদ খান বলেন, “ঘুষ ছাড়া নিয়োগ দেওয়া সম্ভব, আমরা সেটিই প্রমাণ করেছি। এখানে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই মেধাবী। আমি বিশ্বাস করি, তারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।”

চলতি বছরের জুন মাসে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স মাঠে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মোট আবেদন পড়ে এক হাজার ৮৯১টি। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৬৩৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪৭ জন। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় মোট ৭৫ জন নির্বাচিত হলেও চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পান ৪৭ জন।

নিয়োগ পাওয়া কুমিল্লা সদর দক্ষিণের তরুণ এমরান হোসেন বলেন, “কোনো টাকা লাগে নাই, কেউ চাইও নাই। দালালের খপ্পরে পড়ি নাই। বাবা–মায়ের দোয়ায় আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ বদলাচ্ছে।”

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সজিব বলেন, “এখন বিশ্বাস হচ্ছে, যোগ্যতা থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে সবাই অবাক!”

চাকরি পাওয়া এমরান হোসেনের বাবা, সদর দক্ষিণ রামপুর গ্রামের সিএনজি চালক মো. এরশাদ মিয়া বলেন, “ছেলের চাকরির জন্য বাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবছিলাম। আল্লাহর রহমতে কিছুই লাগে নাই, শুধু পরিশ্রম আর প্রার্থনা।”