কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা নগরী সংলগ্ন শাসনগাছায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে পড়ে ছাত্রদল নেতা জামিল হাসান অর্ণবের নিহতের ঘটনায় ২৫জন অস্ত্রধারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
এসব অস্ত্রধারীরা যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য কুমিল্লা নগরী সংলগ্ন ভারত সীমান্তে নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাসনগাছা বাস টার্মিনালে লেগুনের স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে স্থানীয় দফাদার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এনিয়ে টার্মিনালের পাশে দুই পক্ষ শুক্রবার সংঘর্ষে জড়ায়। এতে মধ্যমপাড়া দফাদার বাড়ির মো. আজহার মিয়ার বড় ছেলে জামিল হাসান অর্ণব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও চারজন।
অর্ণব ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
অপরদিকে সংঘর্ষের তিন মিনিট ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে দেখা যায়, এক পক্ষের লোকজনকে অন্য পক্ষের ওপর গুলি, ককটেল ও ইট মারতে দেখা যায়। তাদের তিন-চারজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০-১২ জনের হাতে রাম দা দেখা যায়। কয়েকজন মুখে মাস্ক পরা ছিলেন। অন্য পক্ষকে ভিডিওতে দেখা যায়নি, তবে গুলির শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ককটেল ও ইট ছুড়ে মারে।
অর্ণবের বাবা মো. আজহার মিয়ার বলেন, তার ছেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে পড়ত। শাসনগাছা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সড়কে লার্নিং হোম নামের একটি কোচিং সেন্টার চালাত সে। এ ছাড়া শাসনগাছা বাস টার্মিনালে সততা পরিবহনের বাস কাউন্টারে কাজ করত। বাস টার্মিনালের স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলছিল। তবে আমার ছেলে এতে জড়িত ছিল না। অর্ণব জুমার নামাজ পড়ে ঘরে ফিরছিল। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় তার বুকে গুলি লাগে। সে নিহত হয়। অথচ তার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না।
জামিল হাসানের মা ঝর্ণা আক্তার বলেন, তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে অর্ণব সবার বড়। ছেলেটা সংসারের জন্য পরিশ্রম করত। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, শাসনগাছা এলাকার মোল্লাবাড়ি ও মধ্যমপাড়া এলাকার লোকজন বাস টার্মিনালের লেগুনা স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে একজন মারা যান। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page