
জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লায় ‘তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উপর মুক্ত আলোচনা’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে নগরীর জমজম টাওয়ারের গোল্ডেন স্পুন হোটেলে এ আয়োজন করা হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেযবুত তওহীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক রাকিব আল হাসান। তিনি সংগঠনটির সর্বোচ্চ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম রচিত ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা’ গ্রন্থের আলোকে একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের সমাজ আরবের আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। মব কালচারের কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে, কবর থেকে মৃত মানুষের লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিচারব্যবস্থায় মিথ্যা মামলা ও জটিলতার কারণে নিরপরাধ মানুষ বছরের পর বছর কারাগারে কষ্ট পাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায়ও নীতি-আদর্শের অভাব দেখা দিয়েছে, যার ফলে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে শিক্ষিত মানুষের হাতেই।”
এসময় তিনি প্রচলিত রাষ্ট্রনীতি, বিচারব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা ও অর্থব্যবস্থার নানা ত্রুটি তুলে ধরে তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধানের উপায় ব্যাখ্যা করেন। একইসাথে সমাজে চলমান মব কালচার, নিরাপত্তাহীনতা, দুর্নীতি বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে হেযবুত তওহীদের প্রস্তাবনা জানতে ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা’ গ্রন্থটি পড়ার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেযবুত তওহীদ কুমিল্লা জেলা সভাপতি মো. ওমর ফারুক। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় আমির মাহবুব আলম। তিনি বলেন, “মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজে শান্তি আনতে হলে এমন একটি নিখুঁত জীবনব্যবস্থা প্রয়োজন যা মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে সম্ভব নয়। এজন্য আল্লাহর প্রদত্ত তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে সংবিধানে ১৭ বার পরিবর্তন আনা হলেও তা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত শান্তি দিতে পারেনি। কেবল আল্লাহর হুকুমের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন করলে সেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব, যেমনটি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর শাসনামলে হয়েছিল।”
গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদ কুমিল্লা অঞ্চলের আমির মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক মিয়া, চট্টগ্রাম বিভাগীয় নারী নেত্রী জোবেদা আক্তার বেবী, কুমিল্লা অঞ্চলের নারী নেত্রী আসমা আক্তার, জেলা নারী নেত্রী সেলিনা আক্তার ইতি প্রমুখ।
শেষে বিভিন্ন অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী, ইসলামী চিন্তাবিদ, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা আলোচনায় অংশ নিয়ে সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।