স্টাফ রিপোর্টার।।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে আতশবাজি আর উচ্চশব্দ করায় বাধা দেওয়ায় কুমিল্লায় রবিউল আলম নামের এক ব্যক্তির পরিবারের ওপর হামলা করেছেন প্রতিবেশীরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর রেসকোর্স ধানমন্ডি এলাকার রিফাত মঞ্জিলে এ ঘটনা ঘটে। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী রবিউল আলম জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার শামিরখিল এলাকার মাহবুবুল হকের ছেলে। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। অভিযুক্ত কাজী ইসরাত, কাজী ঝর্ণা, কাজী রিয়া, কাজী মনির একই ভবনের ভাড়াটিয়া বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রবিউল আলম বলেন, ৬ তলা ভবনের ৫ম তলায় রবিউল তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ২ শিশু সন্তানকে নিয়ে রাত ১১টায় ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ মধ্যরাতে রিফাত মঞ্জিলের ছাদের ওপর থেকে বিকট শব্দে আতশবাজির আওয়াজ চিল্লাচিল্লির শব্দ আসে। এতে আমার দুই শিশু সন্তান এবং স্ত্রী ঘুমের মধ্যে আঁতকে ওঠে এবং দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে তাদেরকে উচ্চবাচ্য না করতে বলেন।
এ নিয়ে ভাড়াটিয়া কাজী ইসরাত, কাজী ঝর্ণা ও কাজী রিয়া- তিন বোন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা রবিউলদের বাসায় ঢুকে তাকে লাঞ্ছিত করেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, আমার ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে পোস্ট করায় তারা আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযুক্ত কাজী ইসরাত, কাজী ঝর্ণা, কাজী রিয়া ও কাজী মনিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোনও পক্ষই থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page